মঙ্গলবার , ৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনই ছিল বাঙালির পূর্ণাঙ্গ বিজয়ের দিন- মিজানুর রহমান বিটু

প্রকাশিত হয়েছে -

সঞ্জয় বিশ্বাস

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এর আজ ৫০ বছর। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধুর বীরোচিত দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালি জাতি পেয়েছিল স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ।

১০ জানুয়ারি (সোমবার) সকালে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার খোকসা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বিটু জাতির পিতার উদ্দেশ্য গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, একজন নেতা আস্ত একটা দেশ হয়ে যেতে পারে তা বঙ্গবন্ধুকে না দেখলে, না জানলে অজানায় থেকে যেত। বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র একটি শরীরী সত্তা নয়, একটা নবোত্থিত জাতির পরিচিতি ও অস্তিত্বের সমার্থক- যার সঙ্গে বাংলা ও বাঙালি একীভূত।

বঙ্গবন্ধুর এই মহান ও ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বহন করে এই অর্থে যে, একটি পরাধীন জাতি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করলো, অথচ সেই যুদ্ধে তিনি অনুপস্থিতিতেই ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান-সুপ্রিম কমান্ডার অব দ্য আর্মন্ড ফোর্সেস। হাজার মাইল দূর থেকেই ছিল তার দিব্য ও দিব্যি উপস্থিতি। তিনিই ছিলেন রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের মূর্তিমান প্রতীক। অনুপ্রেরণার উৎস।

এ কথা সত্য যে, বঙ্গবন্ধুর ডাকে মার্চ মাসেই পাকিস্তানের মৃত্যু সূচিত হয়েছিলো। তিনি হয়ে ওঠেছিলেন বাংলা ও বাঙালির আলোকবর্তিকা।

৭৫-এর বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শাহাদত বরণের পর যে ঘোর অমানিশা নেমে এলো, তা থেকে আমরা পর্যায়ক্রমে বেরিয়ে আসছি এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখন দেশ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও সুশাসনের ভিত সুদৃঢ় করেছে। শেখ হাসিনার রূপকল্প-৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর প্রার্থিত ও স্বপ্নের সোনার বাংলা নিশ্চয়ই প্রতিষ্ঠিত হবে।