সমাচার অনলাইন ডেস্ক
সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনা বেড়েই চলছে।শনিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বিত্তিপাড়া নামকস্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১ জন নিহত হয়। অপর ৩ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হলে পরে একজনের মৃত্যু হয়।শুক্রবার ড্রামট্রাকের ধাক্কায় শিশু অনিক নিহত হয়েছে। বালুবাহী ড্রামট্রাকের ধাক্কায় ৬ দিনে ১১ জনের প্রাণঝরেছে । বিআরবি কর্মকর্তা রাসেলের টিফিন বাটির ভাত রাস্তায় পড়েছিল। এই দৃশ্য মর্মান্তিক। পরেরদিন শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নসিমনের ধাক্কায় মাছরাঙ্গা টিভির কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি তাশরিক সঞ্চয় আহত হয়েছেন। এসব ড্রামচালকের ড্রাইভারদের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর জন্যই দূর্ঘটনা ঘটছে। কুষ্টিয়ার বটতৈল থেকে ভেড়ামারা বারোমাইল পযর্ন্ত সড়কের বেহাল দশা। প্রতিদিন ৩/৪ কিলোমিটার দীর্ঘ তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সড়ক সংস্কারের দাবী সমাজের সর্বস্তরের সকলের। কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের তথ্যমতে ২০২১ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে সারাদেশে ৫,৩৭১টি সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬,২৮৪। শুধুমাত্র যানবাহনের বেপরোয়া গতির জন্য ৬২ শতাংশ দূর্ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ দূর্ঘটনায় ঘটেছে অবৈধ ড্রামের ধাক্কায়। সড়কে দূর্ঘটনার ঝুঁকিহ্রাস, পথচারীদের নিরাপত্তা ও শৃংখলা বিধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আরো দায়িত্ববান হবেন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। বিশেষ করে টেকসই ও গুণগত মানসস্মত সড়ক নির্মাণ, কুষ্টিয়া থেকে ভেড়ামারা পযর্ন্ত সড়কের দ্রূত সংস্কার,সকল ড্রাইভার-হেলপারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ডোপ টেস্ট,এ্যাম্বুলেন্স,ফায়ার সার্ভিস,গণমাধ্যম,কৃষি পণ্য পরিবহন এবং অটিজম-প্রতিবন্ধি,শিক্ষার্থী ও প্রবীণ ব্যক্তিবর্গের হাঁটার জন্য পৃথক পৃথক লেনের ব্যবস্থা করা, বিশেষ বিশেষ স্থানে মটরসাইকেল,ড্রাম ট্রাক,বাসসহ সকলধরনের যানের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩০(ত্রিশ) কিলোমিটার নির্ধারণ,সড়ক দূর্ঘটনার শিকার আহত-নিহতদের উদ্ধার করতে পুলিশ,ডাক্তার ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে বিশেষ মেডিক্যাল টিম গঠন,দিনের বেলায় হিউম্যান হলার,নসিমন,ড্রামট্রাক ও মালবাহী পরিবহন সড়কে নিষিদ্ধ করা,কুষ্টিয়া ডিসিকোর্ট,মজমপুর,ভেড়ামারা রেলগেটসহ ব্যাস্ততম স্থানসমূহে আন্ডারপাস ও ওভারব্রীজ নির্মাণ,হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের জনবল বৃদ্ধি,নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা বন্ধ,
সড়কে ডাকাতি -ছিনতাই রোধে পর্যাপ্ত পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন, প্রতি (৫) পাঁচ কিলোমিটার পর পর যাত্রী ছাউনি ও পাবলিক নির্মাণ,নিবন্ধনহীন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ করা,রাস্তার দুই ধারে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত জরুরি। অন্তত দিনের বেলায় ড্রামট্রাক বন্ধ করা হোক। আমাদের সহপাঠী,সহকর্মী ও শুভাকাংখীদের মর্মান্তিক মৃত্যুকে আমরা উদ্বিগ্ন ও গভীরভাবে শোকাহত।