আমৃত্যু কারাদন্ড সাজা পেলেন ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ এলাকার মান্নানের মেয়ে শিখা খাতুন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ভুরকাপাড়া গ্রামের মৃত জলিল সরদারের ছেলে আব্দুল মান্নান (৬০), মান্নানের ছোট ভাই সাদু সরদার (৪৬), একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাজুল সরদার, মৃত শওকত সরদারের ছেলে বজলু সরদার ওরফে বজু এবং রাজন আলীর স্ত্রী আজমিরা খাতুন (৩২)।
আমৃত্যু ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের সবাই ভুরকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায় ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের ০৬ তারিখে রাতে রায়হান তার পিতার বাড়ীতে থেকে অজ্ঞাত নামা এক মোবাইল ফোন পেয়ে বন্ধুর বাড়ীতে যাচ্ছে বলে তার মাকে জানায়। পরেদিন সকালে তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পান তার মা মুক্তি খাতুন । ঘটনার পরের দিন সকালে লোকমুখে বাড়ী থেকে দেড় কিঃ মিঃ দুরে তার ছেলে রায়হান জুনিয়াদহ পালপাড়া মাঠে জনৈক বদর উদ্দিন বিশ^াস এর পানের বরজের জমির আইলের উপর নিয়ে পুরুষাঙ্গ এবং অন্ডকোষে জখম করে পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হত্যা করে। এ বিষয়ে মৃত রায়হানের পিতা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করে।
পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর ভেড়ামারা পুলিশ মামলাটি তদন্ত শেষ করে উপরোক্ত আসামীদেরকে আটক করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
এ বিষয়ে পিপি এ্যাড অনুপ কুমার বলেন রায়হানের সাথে শিখা খাতুনের দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রায়হানের পরিবার শিখা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় শিখা খাতুনের পরিবারের সদস্য তাকে কৌশলে ডেকে রায়হানকে হত্যা করে বলে তিনি জানান। তবে এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রায়হানের পরিবারের সদস্যরা।