কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ টার সময় কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়ান্ড্রন লিডার ইলিয়াস খান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার মৃত হামিদ মোল্লার ছেলে কাজী সোহান শরিফ (৪০) ও একই এলাকার মৃত খন্দকার হারুন উর রশিদের ছেলে খন্দকার আশিকুর রহমান জুয়েল (৩৫)।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পাবনা নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব।
উল্লেখ্য গত ৩ জুলাই কুষ্টিয়া শহরে বাবর আলী গেট এলাকায় নিজ পত্রিকা অফিসে কাজ করার সময় একটি ফোন কলে অফিস থেকে বের হয়ে যান রুবেল। ৭ জুলাই দুপুরে কুমারখালী নির্মাণাধীন যদুবয়রা সেতুর নিচ থেকে রুবেলের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হাসিবুর রহমান রুবেল দৈনিক কুষ্টিয়ার খবরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত আমাদের নতুন সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছিলেন।
৮ জুলাই রুবেলের জানাজা শেষে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কুষ্টিয়ার সাংবাদিকরা। সাংবাদিকরা মজমপুর গেট এলাকা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর থেকে ধারবাহিকভাবে ৭ দিন কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাব (কেপিসি), সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া ও কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের সর্বস্তরের সাংবাদিকের ব্যানারে সকল সংবাদকর্মীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করতে থাকে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও, প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান স্থানীয় পত্রিকার ধর্মঘট সহ নানা কর্মসূচি পালন করেন সংবাদকর্মীরা।
গত ১৪ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহাবুব উল আলম হানিফের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কুষ্টিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা। তারা আসামিদের গ্রেফতার ও মামলার মোটিভ উদ্ধারের বিষয়ে এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ৭ দিনের সময় বেঁধে দেন মাহাবুব উল আলম হানিফ। দুইদিনের মাথায় সন্দেহভাজন দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলো র্যাব।