সমাচার ডেস্ক অনলাইনঃ
মিছিল শেষে ইউনিয়নের হাবাসপুর বহলার চরে লাশটি চাপামাটি দেওয়া হয়। নিহত ব্যক্তি ইউনিয়নের নন্দনালপুর গ্রামের যগেশ কুমার সরকারের ছেলে ও আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজের এইচ এস সি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
মিছিলে বিক্ষোভকারীরা বলেন, কলেজছাত্র নয়নকে কৌশলে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ঘাতকদের দৃৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদিকে কলেজছাত্র নয়ন কুমার সরকারকে হত্যার অভিযোগে মো. আলম (৩৮) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে জেলার খোকসা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আজ সোমবার দুপুরে আদালাতের মাধ্যমে আসামীকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। আলম নন্দনালপুর ইউনিয়নের বাঁশআরা গ্রামের মো. মুন্সীর ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে , নন্দনালপুর ইউনিয়নের বাঁশআড়া গ্রামের করিম আলীর মেয়ের সাথে কলেজছাত্র নয়ন কুমার সরকারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এনিয়ে পারিবারিকভাবে নয়নকে শাষণ করা হয়েছিল। দুই পরিবারের মাঝে বিরোধ চলছিল। এরইমাঝে গত শনিবার মধ্যরাত থেকে নিঁখোজ ছিল কলেজ ছাত্র নয়ন কুমার সরকার। নিখোঁজের পরদিন গত রোববার ভোররাতে নন্দনালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ নতুনপাড়া মাঠের মধ্যে সড়কের পাশে নয়নকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে স্বজনরা অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য হাসপাতালে পাঠায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে ওইদিন দুপুরে ঢাকা যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্য হয়। পরে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আরো জানা গেছে, এঘটনায় কলেজ ছাত্রের বাবা হত্যার অভিযোগে গত রোববার রাতে কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১৯। তারিখ ১৮ জুলাই। উক্ত মামলায় প্রেমিকার চাচাসহ ৮ জনকে আসামী করা হয়।
নিহতের বাবা যগেশ কুমার সরকার বলেন, করিমের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এনিয়ে করিমের পরিবার হুমকি দিয়ে আসছিল। প্রেমের জেরেই ছেলেকে আসামীরা ডেকে নিয়ে হাতুরি, লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। থানায় মামলা করেছি। উপযুক্ত বিচার চাই আমি।
নিহতের বোন লতা রাণী বলেন, ওরা ভাইকে ডেকে নিয়ে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি হত্যার বদলে হত্যা চাই। আমরা বিচার চাই।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, প্রেম সংক্রান্ত জেরে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন নিহতের বাবা। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।