বৃহস্পতিবার , ৯ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল

লাবণী-মাহমুদুলের ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল!মাহমুদুল হাসানকে অনেক স্নেহ করতেন খন্দকার লাবণী

প্রকাশিত হয়েছে -

সমাচার ডেস্ক অনলাইনঃ 

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এডিসি খন্দকার লাবণীর সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল। মাহমুদুল হাসানকে অনেক স্নেহ করতেন খন্দকার লাবণী। এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের বড় বোন সুমাইয়া খাতুন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরতলীর পূর্ব আলফামোড় এলাকায় নিজ বাসভবনে এসব কথা বলেন তিনি।

সুমাইয়া খাতুন আরও বলেন,মাগুরা পুলিশ লাইন থেকে সকালে মাহমুদুল হাসান সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে বলে জানিয়েছেন। পরে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়। মাহমুদুলের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পাচ্ছি না। খন্দকার লাবণী মাহমুদুল হাসানকে শুধু ছোট ভাই ভাবতেন। তাদের কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। দুইদিন আগে আমার আর মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে ভাই বোনের স্বাভাবিক কথা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আমার বাবা মো. এজাজুল হক খান। ভাই মাহমুদুল হাসান পুলিশে
চাকরি পায় ‘দুই বছর চার মাস আগে। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গেল দেড় মাস আগে মাহমুদুল মাগুরা পুলিশ লাইনে বদলি হয়ে আসে। সেখানেই সে কর্মরত ছিলেন। এর বেশি কিছু আমি জানি না।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র থাকার সম্ভাবনা বেশি। কারণ নিহত পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান এর আগে খুলনা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এডিসি খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী ছিলেন। মাত্র দেড় মাস আগে মাহমুদুল মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন। অন্যদিকে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসে গতকাল বুধবার (২০ জুলাই) রাতে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন এডিসি খন্দকার লাবণী। তিনি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ৬নং কাদিরপাড়া ইউনিয়নের বরালিদহ গ্রামের খন্দকার শফিকুল আজমের মেয়ে। তার স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক। তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ১৭ জুলাই এক সপ্তাহের ছুটিতে লাবণী গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গতকাল বুধবার লাবণী শ্রীপুর ইউনিয়নের সারঙ্গ দিয়া গ্রামে নানার বাড়িতে অবস্থান করছিল। গভীর রাতে সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।