সমাচার ডেস্ক অনলাইনঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক হত্যা মামলার আসামি মো. সেলিম (৪৫) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১ আগস্ট) সকাল ১১ টায় আহত সেলিমকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহত সেলিম উপজেলার সদকী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত সেকেন আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন। তিনি একই এলাকার হুমায়ন মন্ডল (৪৪) হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সেলিম একজন ভাটা শ্রমিক। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ভাটায় কাজে যাচ্ছিলেন। এসময় প্রতিপক্ষের কয়েকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তার চিৎকারে প্রতিপক্ষরা দ্রুত চলে যায় এবং স্বজন ও স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তাঁর অবস্থা আশঙ্খাজনক হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। এরপর কুষ্টিয়া হাসপাতালে পৌছানোর আগেই তিনি মারা যান।
আরো জানা গেছে, ২০২০ সালের ৬ মে জমি সংক্রান্ত জেরে চরপাড়া জামে মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ আদায় করে বাড়ির ফেরার পথে পূর্বশত্রুতার জেরে হুমায়ন মন্ডল (৪৪) কে কুপিয়ে করেছিল প্রতিপক্ষরা। পরের দিন ৭ মে নিহতের ছোট ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩৬ জনের নামের কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলায় নিহত সেলিমকে আসামি করা হয়েছিল।
নিহতের ভাই শাহিন বলেন, ভাইকে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের মোঃ সাইদুল ইসলাম (৩৫), মোঃ আসলাম হোসেন (৪০), মোঃ রাজু আহমেদ (২৫) সহ বেশ কয়েকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
সদকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ বলেন, জমি সংক্রান্ত জেরে ২০২০ সালে একজন খুন হয়েছিল। সেলিম সেই মামলার আসামি ছিল। আজ প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি।
বর্তমানে উক্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় আইন শঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সকালে সেলিম নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে মারাত্ত্বকভাবে জখম করে প্রতিপক্ষরা। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।