ইবি প্রতিনিধি।। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ চলোমান গত মঙ্গলবার ২০/০৯/২০২২ ইং তারিখে ট‍্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম‍্যানেজমেন্ট বিভাগের নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয় । এই বোর্ডে ৬২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এর মধ্যে ৩ জন চূড়ান্ত ভাবে নিয়োগের জন‍্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন । তার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাসির মিয়া আছেন বলে ক‍্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে। এদিকে নাসির মিয়ার নিয়োগ হয়েছেন একথা জানার পরে প্রগতিশীল শিক্ষক ও ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। কারণ এই নাসির মিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের নেতা ছিলেন। সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নূরের পক্ষে ওপেন ভোটের মাঠে নামেন এই নাসির মিয়া এবং নাসির মিয়া ছাত্রদলের এ্যাকটিভ কর্মী বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান অনেক নেতাই হতাশা প্রকাশ করেছে যে কিভাবে নিয়োগ পেল এই নাসির মিয়া যে সরকার বিরোধী অনেক কর্মকান্ডের সাথেই জড়িত ছিলেন ভিপি নূরের ডানহাত নামে পরিচিত নাসির মিয়া । ইবি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় গোপনে অংশগ্রহণ করেন নাসির মিয়া তার খুব কাছের বন্ধুরা নাসির মিয়ার কাছে জানতে চাইলে বলে আমি ইবিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিনি । এই গোপনীয়তা কেন এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনার ঝড় । তার তার পরেই বের হয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য মুলোত নাসির মিয়াকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিতে ইবির সাবেক ট্রেজারার আফজাল হোসেন ( বর্তমানে ঢাবির ট‍্যুরিজম বিভাগের অধ্যাপক) ও নিয়োগ বোর্ডের একজন সদস্য অধ্যাপক বদিউজ্জামান নানা কৌশলে নাসির মিয়াকে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করেছেন। ইবি ক‍্যাম্পাসে আরো আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে ট‍্যুরিজম বিভাগের নিয়োগ বোর্ডে শুধুমাত্র নাসির মিয়া একাই সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছে কিন্তু কিভাবে ?? অনুসন্ধানে জানা গেছে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য অর্থলোভী অধ্যাপক বদিউজ্জামান নাসির মিয়াকে আগে থেকে প্রশ্ন দিয়ে দিয়েছে তাকে লিখিত পরীক্ষায় ফার্ষ্ট করেছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষক নেতা জানিয়েছে আমাদের কাছে অনেকেই অভিযোগ করেছেন নাসির মিয়ার নিয়োগ নিয়ে। তিনি নানা সময়ে সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ভিপি নূরের লোক এবং নাসির মিয়ার বিএনপির রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্টতা আছে এমন তথ্য আমাদের কাছে অনেকেই দিয়েছে । ছাত্রলীগের সাবেক বর্তমান অনেক নেতাই মন্তব্য করেছেন বর্তমান প্রশাসন বিএনপি জামায়াতের ছেলেদের চাকরি দেওয়ার ইজারা নিয়েছে । কিছু দিন আগে পরিসংখ্যান বিভাগে শিবিরের চাকরি দিলো এবার নাকি ভিপি নূরের ডানহাত ও ছাত্রদল কর্মী ঢাবির একজন কে নিয়োগ দিয়েছে কিন্তু কেন কিসের বিনিময়ে সরকার বিরোধী লোকজন কে নিয়োগ দিচ্ছে ইবি প্রশাসন । ছাত্রলীগের ছেলেদের নিয়োগ না দিয়ে বিএনপি জামায়াত পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দিচ্ছে এটা মেনে নেওয়া যায় না। এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আবদুস সালামের সাথে যোগাযোগ করা হলেও ওনি ফোন ধরেনি।