সমাচার ডেস্ক অনলাইনঃ

আজ ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ইং তারিখে কুষ্টিয়া জেলার প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার এবং জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দেন। কুষ্টিয়া সদর থেকে ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে দুজন প্রার্থী তালা প্রতীক চাওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ জহুরুল ইসলাম রাজকে রাজনৈতিক অগ্রজ বিবেচনায় অগ্রাধিকার দিয়ে অ্যাড. পলল ঘুড়ি প্রতীক গ্রহণ করেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য।

আগামী ১৭ই অক্টোবর, ২০২২ ইং তারিখে অনুষ্ঠিতব্য কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া সদর ৪ নং ওয়ার্ড থেকে ” সদস্য ” পদে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট সমাজসেবক ও আইনজীবী, কুষ্টিয়া পৌর কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক, তরুণ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠক অ্যাডভোকেট মোঃ মুহাইমিনুর রহমান পলল।

উল্লেখ্য যে, অ্যাড. পলল সমাজসেবায় ১ যুগ ও করোনাকালীল বিশেষ অবদানের জন্য নেপালের কাঠমুন্ডুতে সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে সার্ক ব্রিলিয়ান্স এওয়ার্ড – ২০২২ অর্জন করেন। সম্প্রতি কলকাতার বেদিক ভিলেজ এন্ড স্পা রিসোর্টে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড পীস সামিটে সমাজকর্মী হিসেবে “ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স এওয়ার্ড” নামক বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেন কিশোর বয়স থেকে সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য।

অর্ধশতাধিক সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সম্মিলিত সামাজিক জোট গঠন ও প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন সহ প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে। বর্তমানে জোটের সমন্বয়ক এর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটি ও কুষ্টিয়া যুব উন্নয়ন পরিষদ (কালপুরুষ) জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন। আইনজীবী অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন বিগত ১৮ই সেপ্টেম্বর। এছাড়াও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন ২০২২ সালের প্রারম্ভ থেকে।

২০১১ সালে প্রযুক্তিতে কুষ্টিয়ার উদ্যোগে প্রযুক্তি উৎসবে মাননীয় বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের হাত থেকে সেরা সংগঠকের পুরষ্কার লাভ করেন। ২০১৫ ও ২০১৬ তে জাতীয় স্বাধীনতা দিবস চলচ্চিত্র উৎসব, মুক্তিযুদ্ধ অলিম্পিয়াড, জাতীয় চিঠি উৎসব আয়োজনের জন্য উৎসব পরিচালক হিসেবে সম্মাননা লাভ করেন। এছাড়াও ২০২১ ও ২০২২ সালে করোনাকালীন সম্মুখসারীতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের করোনা কার্যক্রমে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবকদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কোভিড যোদ্ধা হিসাবে মেয়র ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কতৃক সম্মাননা অর্জন করেন।

বর্তমানে অ্যাড. পলল বার কাউন্সিলের সনদ প্রাপ্ত হয়ে সুনামের সাথে আইন চর্চায় নিয়োজিত রয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আয়কর পরামর্শক কুষ্টিয়া আয়কর আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন। পেশার পাশাপাশি সাংবাদিকতায় ও লেখালেখিতে নিয়োজিত আছেন জয়প্রিয় দৈনিক কুষ্টিয়ার সহ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে।আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন নতুনটাইমস অনলাইন পত্রিকার পরিচালনা পর্ষদের।

২০২১ এ ভারতের চন্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পিএইচডি স্কলারশিপ অর্জনের মাধ্যমে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাভে প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। করোনাকালীন পিতার আকষ্মিক মৃত্যুতে একমাত্র ছেলে সন্তান হওয়ায় পূর্ণকালীন গবেষণা থেকে খন্ডকালীন পিএইচডিতে বদলী নিয়ে দেশের ফিরে উকালতির পাশপাশি কৈশোর জীবন থেকে শুরু করা সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি সংগঠিত করায় মনোনিবেশ করেন।

২০০৫ সাল থেকে শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদ, কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি বিপ্লব হোসেনের হাত ধরে রাজনৈতিক পথচলা আরম্ভ হয়। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৩ সালে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। সাংগঠনিক কার্যক্রমে প্রশংসনীয় অংশগ্রহণ ও কর্মসূচি সংগঠিত করতে সহায়তা প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনে জেলার ২৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে নির্বাচিত হন কাউন্সিলর পদে। ডেলিগেট নির্বাচিত হন যুবলীগের ৮ ম কংগ্রেসে। সম্প্রতি পৌর কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক নির্বাচিত হন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ কুষ্টিয়া জেলা কৃষকলীগের বিশেষ বর্ধিত সভার মাধ্যমে।

তরুণ প্রজন্মের এই প্রার্থীর দাবী রাজনীতি ও নির্বাচনের সর্বস্তরে তরূন শিক্ষিত দক্ষ যুবকদের সুযোগ দেওয়া উচিৎ। রাজনীতিকে পাশ কাটিয়ে কোনো দেশের উন্নতি সম্ভব না। দেশের মেধাবীরা আজ বিসিএস, বিদেশী স্কলারশিপ বেছে নেওয়ায় রাজনীতিতে মেধাবীদের অংশগ্রহন নেই। এই শূন্য স্থান পূরণ না হলে দূর্ণীতি দ্বারা উন্নয়ন ও গনতন্ত্র বাধাগ্রস্থ হবে।

সুতরাং এর বিরুদ্ধে একটা সামাজিক বিপ্লব দরকার যুবক ও তরুণদের। যারা দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়বে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মানচিত্রকে স্মরণীয় করবে পুনরায়। এছাড়াও সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে না পরিপূর্ণ রুপে। যুবাদের এগিয়ে আসতে হবে।

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলা ও পৌরসভার সকল জনপ্রতিনিধি ভোট প্রার্থনা করে অ্যাডভোকেট মোঃ মুহাইমিনুর রহমান পলল সর্বোপরি কুষ্টিয়াবাসীর দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেন। নির্বাচিত হলে দূর্নীতি মুক্ত কুষ্টিয়া সদর গড়ার অঙ্গীকার করেন। পরাজিত হলে নির্বাচনী এলাকায় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে জনসেবা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন সর্বকণিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে।