আব্দুল আহাদ প্রিয়ঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদী থেকে জেলের জালে একটি বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ ধরা পড়ে।পরবর্তীতে সাপটিকে গড়াই নদে অবমুক্তকরণ করা হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার করা ইউনিয়নের সৈয়দ মাসুদ কর্মী সেতুর নীচে গড়াই নদে সাপটি অবমুক্ত করা হয়। অবমুক্তকরণ করেন উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তারা।এসব তথ্য নিশ্চিত উপজেলা করেছেন বনবিভাগের কর্মকর্তা মো . আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন , পদ্মা নদীতে মাছ ধরা দুয়ার জালে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার আটকা পড়ে।সকালে খবর পেয়ে এই সাপটি জব্দ করা হয়। এবং গড়াই ব্রীজের (সৈয়দ মাসুদ রুমী সেতু) নিচে অবমুক্তকরণ করা হয়।এ যেন সাগর থেকে থেকে এনে কুয়াতে ফেলা হলো।জানা গেছে , উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের জেলে মো . শামিম হোসেন প্রতিদিনই পদ্মায় দোয়াড় জালের ফাঁদ পেতে মাছ শিকার করেন।মঙ্গলবার সকালে জাল থেকে মাছ বের করতে যান।জালে মাছের পরিবর্তে সাপ দেখতে পান।প্রথমে তিনি অজগর সাপ মনে করে স্থানীয়দের খবর দেন।
পরে বন বিভাগের লোকজন এসে তাকে জানায় এটা বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ । পরে সাপটিকে বনবিভাগের লোকজন নিয়ে যান।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে , রাসেল ভাইপার সাপটি খুবই বিষাক্ত সাপটি বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত।দেশে যেসব সাপ দেখা যায় তাদের মধ্যে রাসেল ভাইপার সবচেয়ে বিষাক্ত। এ সাপের কামড়ে শরীরের দংশন অংশে বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি ক্রমাগত রক্তপাত , রক্তজমাট বাঁধা স্নায়ু বৈকল্য , চোখ ভারি হয়ে যাওয়া পক্ষাঘাত , কিডনির ক্ষতিসহ বিভিন্ন রকম শারীরিক উপসর্গ দেখা যেতে পারে ।
এ বিষয়ে জেলে মো . শামিম হোসেন বলেন , প্রতিদিনই দোয়াড়ে জাল পেতে পদ্মায় মাছ ধরি ।সকালে জাল তুলে দেখি একটি অন্যরকম সাপ । যা আগে কখনও দেখিনি ।প্রথমে অজগর মনে করেছিলাম ।পরে বনবিভাগের লোক এসে বললেন এটি বিষাক্ত রাসেল ভাইপার । সাপটি বনবিভাগ নিয়ে গেছেন । উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি মো . আকরাম হোসেন , পদ্মা থেকে এনে গড়াইয়ে ছেড়ে দিয়ে লাভ কি হলো । বরং গড়াই পদ্মার চেয়ে বেশি লোকালয় । সাপটি অনেক দূরে কোথাও ফাঁকা স্থানে অবমুক্তকরণের দরকার ছিল ।