সেলিম রেজা,মহেশপুর(ঝিনাইদহ)
বিকালে বাজারে যেই মাছ ১৮০টাকা কেজি,সকালে সেই মাছ নেপার মোড়ে ২৮০ টাকা কেজি!এই ভোগান্তির শেষ কোথায়?
গত রবিবার ২ই অক্টোবর তারিখে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার নেপার বাজার থেকে বিকালে ১৮০ টাকা কেজি দরে রুই মাচ ক্রয় করি।
সেই রুই মাছ আজ ৫ই অক্টোবর বুধবার সকালে নেপার মোড় বাকোশপোতা বাজারে ক্রয় করেতে গেলে বিক্রেতা দাম চান ২৮০ টাকা কেজি দরে।
জিজ্ঞাসা করা হলো,হঠাৎ করে দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১’শ টাকা বেড়ে গেলো মাছের দাম?
জবাবে বিক্রেতা বললো,এত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না।
নিলে নেন,না নিলে না নেন।
এমন দেমাকের সাথেই জবাব দিলেন,উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের পলিয়ানপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী জয়নাল মিয়া।
এই ভোগান্তির শেষ কোথায়?
এমন অস্বাভাবিক হারে রাতারাতি লাগামহীন ভাবে মাছের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষেরা।
এমন অসাধু সিন্ডিকেট এবং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঝিনাইদহ জেলা ভোক্তা অধিকার অংরক্ষন অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
প্রতিদিন ভোর থেকে এভাবেই সারিবদ্ধভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ বাজারে সড়কের মাঝখানে বসে দুপুর পর্যন্ত মাছ বিক্রি করে চলেছেন জয়নাল,হায়দার সহ আরো অনেকেই।
এতে যানচলাচল এবং পথচারীদের পড়তে হয় ঝুঁকিতে।যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
মাছের বাজার রাস্তার মধ্য থেকে দ্রুত উচ্ছেদের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এক ক্রেতা বলেন,
আসুন আমরা সবাই সকালে নেপারমোড় থেকে মাছ ক্রয় করা বর্জন করি।
তাহলেই বাজার মূল্যে মাছের দাম নিয়ন্ত্রন করবে এই সকালে বেশি দামে মাছ বিক্রি করা এই অসাধু ব্যবসায়ীরা।