সমাচার ডেস্ক অনলাইনঃ
শৈশবে নদীর স্বচ্ছ পানিতে জোড়া নারকেল ভাসিয়ে অথবা কলাগাছ ফেলে সাঁতার কাটতেন এক ছোট বালক শীতের দিনে নদীর উষ্ণ পানিতে পা ভেজাতেন। এই চঞ্চলা মনের মানুষটি ২০০০ সালের ০৫অক্টোবর মেহেরপুরের গহরপুর গ্রামে জন্ম নেন মোঃ শরিফুল ইসলাম মারেফী ।
পিতা বাদল সর্দার (কৃষি) কাজ করে ছেলেকে মাদরাসায় পড়াচ্ছেন দ্বীনের বুঝ দিয়ে সমাজের একজন করে গড়ে তুলার লক্ষে। হাজার কষ্ট জালা বুকে দাফন করে আলেমের পিতা হওয়ার আশায় ২০০৮ সালে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন ছোট শরিফ কে।
শরিফ এখন বাইশ বছর পুর্ন করে ২৩ এর কোঠায় পা দিলেন আর বন্ধু দের অসাধারণ সেলিব্রেশনে মন খুলে আনান্দ উপভোগ করলেন। বিশেষ করে সাদিক,আমির হামজা, মাহদি হাসান, জাকারিয়া, রিফাত,শাকিল,হৃদয়,জাহিদ,সহ অবেকেই ভিডিও এর মাধ্যমে অবাক করা উইশ করে আনান্দ বাড়িয়েছে।
বর্তমান দাওরা হাদিস (মাষ্টারস) এ পড়ালেখা করছেন, জামিআ আরাবিয়া আশরাফুল উলুম কুষ্টিয়া মাদরাসায়।
তিনি বলেন,
জন্মদিনে যারা আমাকে কমেন্টে ও ইনবক্সে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে ধন্যবাদ জানাতে না পেরে এই পোস্টের মাধ্যমে সকলকে একত্রে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং আপনাদের এত ভালোবাসা ও দোয়া পেয়ে মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
যারা জন্মদিন পালন করা ঠিক কিনা সেই প্রশ্ন তুলে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছেন তাদেরকে আমি বলব, “পালন” করা বলতে কি বোঝায় আর ঠিক কি কি করলে তা “পালন” করার সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে তা আমার জানা নেই।
যদি আমি আমার জন্মদিনে রোজা রাখি, গরীবদের খাওয়াই তাতেওকি জন্মদিন “পালন” করা হয়? আমিতো জানি রাসুল (সা) প্রত্যেক সোমবার রোজা রাখার কারণ হিসেবে বলেছিলেন -فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَىَّ – এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এইদিনে আমার উপর ওহী নাজিল হয়েছিল। রাসুল (সা) কি তাহলে প্রত্যেক সোমবার রোজা রেখে নিজের জন্মদিন “পালন” করেছিলেন?