নিজস্ব প্রতিনিধি:
বঙ্গবন্ধুকে জানি, বাংলাদেশ গড়ি এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে “বজ্রকন্ঠ” সংগঠনের আয়োজনে এক শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের সহযোগীতায় কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠানে, প্রধান অতিথি ছিলেন ও শুভ উদ্ধোধন ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শেখ হাসান মেহেদী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন রাজু ও মাযহারুল আলম সুমন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাধন কুমার বিশ্বাস, জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এফতে খাইরুল ইসলাম, কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেব উন নিসা সবুজ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক প্রমূখ।
উক্ত শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষক ছিলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা। এবং উপদেষ্টা ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি ব্যারিষ্টার গৌরব চাকী।
দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন “বজ্রকন্ঠ” ইয়থ সোসাইটির সভাপতি আবিদুর রহমান তির্থ ও সার্বিক পরিচালনা করেন উক্ত সংগঠনের সাধারন সম্পাদক জিহাদ। এছাড়াও সংগঠনের অন্যান্য সদস্যর উপস্থিতিতে সু-শৃঙ্খল ভাবে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান ও পুরুস্কার বিতরন শেষ হয়।
পুরুস্কার বিতরন শেষে বিশিষ্ট ম্যাজিশিয়ান রাশেদ সিকদার মঞ্চে উপস্থিত হন। এসময় দর্শক তার ম্যাজিক দেখে আনন্দ উপভোগ করেন।
শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে জানি, বাংলাদেশ গড়ি” বজ্রকন্ঠ” ইয়থ সোসাইটির শ্লোগানের ব্যাখ্যা দিয়ে, প্রধান অতিথি মাহাবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেন, শিশুকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু দুঃখী মানুষের কষ্ট লাঘবে সচেষ্ট ছিলেন। তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সর্বদা বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করেছেন। অধিকার আদায়ে সচেতন করে তাদের ন্যায্য দাবি অর্জনে সচেষ্ট করে তোলাই যেন ছিল তাঁর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। কিশোর বয়সেই বিভিন্ন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করা, ধর্মের নামে অত্যাচার ও হিংসামূলক কর্মকান্ড, শিক্ষার অধিকার আন্দোলনসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পক্ষে সরব ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু তার আদর্শ ও দর্শন প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি এই সংগ্রামী জীবনের যোগ্য সঙ্গ ও প্রেরণা পেয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কাছ থেকে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন প্রতিষ্ঠা করাই হোক তরুণ প্রজন্মের প্রত্যয়। বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবন ও রাজনৈতিক দর্শন আমাদের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে তুলে ধরতে পারলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা আরো বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
হানিফ এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশে রুপান্তরিত হবে। দেশের প্রতিটি মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে ক্ষুধাহীন ও দারিদ্র্য মুক্ত একটি জাতি গঠনের স্বপ্নে বিভোর ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান।
হানিফ এমপি আরো বলেন, বিভিন্ন সময় ক্ষমতা লিপ্সায় বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী দেশের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কণ্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। বঙ্গবন্ধু যেমন বাঙালি জাতিকে স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তেমনি তার সুযোগ্য কন্যা পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবে রুপান্তরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিনতকরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জনগণের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্তির লক্ষ্যে কৃষি উন্নয়নের বৈপ্লবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ঘাতকচক্র বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম এই মহানায়ককে হত্যা করলেও তাঁর নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। তিনি একটি চেতনার নাম বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রূপকার। এ দেশের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। জীবিত বঙ্গবন্ধু থেকেও মৃত বঙ্গবন্ধু আরও বেশি শক্তিশালী। যতদিন বাংলাদেশ নামক এই ভূখন্ড থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মাঝে অম্লান হয়ে থাকবেন।
হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হতো। তার কণ্যা জনগনের মঙ্গলে, দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ায় বিএনপি জামাতের হিংসা হয়। কারন তারা দেশটাকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলো। তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলার মেহনতি মানুষ ক্ষুধা, দারিদ্র, কুসংস্কার, অন্যায় নিপীড়ন শোষণ মুক্ত এক জাতি, বঙ্গবন্ধুর ভাষায় যাদের দাবায়ে রাখা যায় না। তাই আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ধারাকেও থামানো যাবে না।