আলামিন আহাম্মেদ:
ঢাকার ধামরাইয়ে মজা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ৮বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে রতন কুমার সাহা (৫৫) এক কাচামাল ব্যবসায়ী। এবং ধর্ষণের ঘটনা মিমাংসার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে জানা যায়।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে আহত অবস্থায় তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরআগে, শুক্রবার বিকাল বেলা মজা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে বাড়ীর পাশে একটি পরিত্যাক্ত ভিটায় নিয়ে শিশুকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরে মেয়েটি প্রস্রাব করতে পারতেছে না। পরে দ্রুত সাভার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রতন কুমার সাহা ধামরাই উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের নান্নার দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মৃত শিয়া সাহার ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানাযায়, গত শুক্রবার ৮ বছরের এক শিশুকে মজা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে বাড়ীর পাশে একটি জমির পরিত্যাক্ত ভিটায় নিয়ে রতন কুমার সাহা শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এই সময় শিশুটির চিৎকারের শব্দ শুনে হক সাহেব নামের এক প্রতিবেশী ঘটনাস্থলে গেলে ধর্ষণকারী রতন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে আসে। পরে রাতেই তার শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে পেট ফুলে যায় এবং রক্তক্ষরণ হয়। এরপর তাকে সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে মেয়েটি।
এবিষয়ে শিশুটির মা সীমা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে রতন কুমার সাহা যা করেছে তা বলতে পারছি না। আমি মেয়েকে নিয়ে সাভার হাসপাতালে ভর্তি আছি। তবে মেম্বার মো. নুরুল ইসলাম ঠান্ডু বলেছে তোমরা মেয়েটিকে সুস্থ্য করে বাড়ীতে আস আমরা এক জায়গায় বসে মিমাংসা করে দিব। ভাই আমার স্বামী আইক্রীম বিক্রি করে সংসার চালায়। আমরা গরীব মানুষ আমাদের বিচার কে করবে।
এই বিষয়ে শিশুটির বড় চাচা মো. রজ্জব ফকির বলেন- ঠান্ডু মেম্বার মিমাংসার ভার নিয়ে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য রতন কুমারকে টাকা দিতে বলেছে।
এই বিষয়ে নান্নার ইউনিয়নের ৫ নং ওযার্ডের মেম্বার মোঃ নরুল ইসলাম ঠান্ডু বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ৮ বছরের শিশু আহত হয়। আমি তিন হাজার টাকা দিয়ে শিশুটিকে হাসপালে ভর্তি করার কথা বলেছি।
ধামরাই থানার (ওসি তদন্ত) মোহাম্মদ ওয়াহেদ পারভেজ বলেন, ধর্ষণের বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে ধর্ষণের বিষয় কেউ আপোস করতে পারে না। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।