বৃহস্পতিবার , ৯ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল

শেখ রাসেল দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে এসপি খাইরুল আলমের শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত হয়েছে -



সমাচার ডেস্ক অনলাইনঃ



মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর, ২০২২)




সকাল ৮ টায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এঁর ৫৯তম জন্মবার্ষিকী ও শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে জেলা পুলিশ কুষ্টিয়া ও পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম যথাযথ মর্যাদা ও পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়া জেলা কালেক্টরেট অফিসের সামনে নতুন ভাবে তৈরিকৃত শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে কিছু সময় নীরবে দাড়িয়ে থেকে শেখ রাসেল এঁর প্রতি সম্মান ও তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ৮ টায় পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

একই দিনে সকাল ৮:৪৫ ঘটিকায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এঁর ৫৯ তম জন্মবার্ষিকী ও শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়। র‍্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে “শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক” প্রতিপাদ্য নিয়ে শেখ রাসেল দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে কেক কাটা হয় এবং আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া ও অন্যান্য অতিথি বক্তা গণ দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিস্তার আলোচনা করেন।

পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম বলেন, দীপ্ত জয়োল্লাস, নির্মলতার প্রতীক মমতা মাখা একটি নাম শেখ রাসেল। আজ শেখ রাসেল এঁর ৫৯ জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস ২০২২। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর এই দিনে ঢাকায় ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্ম গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু তার প্রিয় লেখক খ্যাতিমান দার্শনিক ও নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে পরিবারের নতুন সদস্যের নাম রাখেন ‘রাসেল’। এই নামকরণে মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শৈশব থেকেই দুরন্ত প্রাণবন্ত, নির্মলতার প্রতীক রাসেল ছিলেন পরিবারের সবার প্রিয় মুখ; অতি আদরের। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে ঘাতকের নির্মম বুলেটে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়।

এক নজরে শহীদ শেখ রাসেলের জীবনপঞ্জি :
প্রকৃত নাম : শেখ রিসাল উদ্দিন, ডাকনাম: রাসেল, পিতার নাম : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মায়ের নাম : বেগম ফজিলাতুন নেছা, নানার নাম : শেখ জহিরুল হক দুদু মিয়া, নানির নাম : বেগম হোসনে আরা, জন্মতারিখ: ১৮ই অক্টোবর, ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ, জন্মস্থান: ঢাকা, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ৬৭৭ নম্বর বাড়ি, বড়ো আপা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কক্ষে, রাত ১টা ৩০ মিনিট । পিতৃভূমি : গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের শেখবাড়ি, শিক্ষা : চতুর্থ শ্রেণি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব স্কুল। পারিবারিক পরিচয় বড়ো বোন শেখ হাসিনা, ছোটো বোন শেখ রেহানা, বড়ো ভাই শেখ কামাল, মেজো ভাই শেখ জামাল ও একমাত্র চাচা শেখ নাসের। ফুফুরা ছিলেন ৪ জন, দাদার নাম : শেখ লুৎফর রহমান, দাদির নাম : সায়েরা খাতুন, মৃত্যু : ১৫ই আগস্ট, ১৯৭৫ খ্রি. ধলপহর, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ৬৭৭ নম্বর নিজেদের বাড়ি। ঐদিন খুনিরা গোসল ও জানাজা ছাড়া মা-ভাই, ভাবি, চাচা ও অন্যদের সাথে ঢাকার বনানীতে গর্ত করে মাটিচাপা দিয়ে কবরস্থ করা হয়।

শেখ রাসেলের ভুবন ছিল তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাতা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালকে ঘিরে। ১৯৭১ সালে শেখ রাসেল তাঁর মা ও দুই আপাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ধানমণ্ডি ১৮ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে বন্দি জীবন কাটিয়েছেন। পিতা বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি এবং বড় দুই ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামাল চলে গেছেন মুক্তিযুদ্ধে। মা ও আপাসহ পরিবারের সদস্যরা ১৯৭১ সালের ১৭ই ডিসেম্বর মুক্ত হন। রাসেল ‘জয় বাংলা’ বলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। বাইরে তখন চলছে বিজয়-উৎসব।

শেখ রাসেল দিবস ২০২২ উপলক্ষে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদে বাদ যোহর এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া ও কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সকল পদমর্যাদার অফিসার – ফোর্স উক্ত দোয়া মাহফিলে অংশ গ্রহণ করেন।