শুক্রবার , ১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ উপজেলার অসহায় মানুষের পাশে আছেন আব্দুল্লাহ আল বাশির

প্রকাশিত হয়েছে -


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ



অসহায় মানুষের পাশে আছেন যুবক আব্দুল্লাহ আল বাশির।মানুষ মানুষের জন্য, একটু সহানুভূতি কি পেতে পারে না। আমার প্রথম চাওয়া তরুণ সমাজকে একটি প্ল্যাটফর্মে এনে অসহায় মানুষ এবং দেশের কল্যাণে কাজ করা। সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি চাই, তরুণদের মধ্যে থাকবে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। তারা একে-অপরকে সহযোগিতা করবে, সর্বদা নিয়োজিত থাকবে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে।’এই কথাগুলো বলছিলেন একজন ২২ বছর বয়সী তরুণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আব্দুল্লাহ আল বাশির

যিনি উদ্ভিদ বিজ্ঞানের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি অধ্যায়ন করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে।

তিনি শিবগঞ্জ পৌরসভার পিঠালীতলা গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো.আলাউদ্দিন,মা মোসাঃ সাজেনুর বেগম। বাবা মার ছোট সন্তান। মানবসেবার নেশা জাগ্রত হয় শিবগঞ্জ সরঃ মডেল হাই স্কুলে অধ্যায়নকালে। সেখানে তিনি কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে তৈরি করেন “কিশোরের ডাক”নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ।

নিজে এবং বন্ধুদের পকেট খরচের টাকা জমিয়ে এগিয়ে আসেন গরীব ,অসহায় ও দুস্থ মানুষের সেবা করার জন্য। অসহায়, রোগীদের রক্তের চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে এলাকার বেশকিছু তরুণদের নিয়ে গড়ে তোলেন ‘আদর্শ মানব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ’ নামে ব্লাড ব্যাংক সোসাইটি।

এতে উপকৃত হন জেলার সাধারণ মানুষ। এভাবেই তার সাংগঠনিক পথচলা। তিনি স্বল্প অর্থে অসংখ্য পরিবারকে সাবলম্বী করেছেন। সমাজের চোখে আঙ্গুল দিয়ে বিগত ৬ বছর ধরে শত বাঁধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আজ তিনি তার স্বপ্নের শীর্ষে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।

বাশির বর্তমানে ‘কিশোরের ডাক’ নামক সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তার নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে দেশজুড়ে। এখন পড়াশোনার মধ্য দিয়ে যতটুকু সময় পান তার সবটুকু সময়ই ব্যয় করছেন মানুষের সেবা করে। মানুষের জন্য কাজ করা তার যেন নেশা হয়ে গেছে। বহু প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পথ চললেও পিছপা হননি কখনও। তিনি যেখানেই যান, সবাইকে তার বুকে জায়গা করে দেন। এমন দৃষ্টান্ত যা অন্য ব্যক্তির মধ্যে পাওয়া দুষ্কর। কলেজ ছুটি হলেই বাশির ছুটে বেড়ায় মানবতার কাজ করার টানে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বাশির জানান, ‘আমি কিশোরের ডাক ” সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার।

আমি চাই, এই নেতৃত্ব শুধু আমি নই, নেতৃত্ব দিবে তরুণরা যারা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছে। কিছু পাওয়ার জন্য নয় নিজের ভালো লাগা থেকেই কাজ করছে। করোনা কালীন সময়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে খাদ্য ঔষধ এবং সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের কাছে শিক্ষা উপকরণ পৌঁছে দিয়েছেন। সমাজকে বদলে দিতে এবং আগামীর বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসতে হবে জানিয়েছেন ।

সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন , তিনি যেন দরিদ্র অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে।