শুক্রবার , ১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল

প্রবাসীকে আটকে মুক্তিপণ আদায়’আটক-২, কুষ্টিয়ায় পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত হয়েছে -



নিজস্ব প্রতিনিধিঃ




দেশ ও প্রবাসের সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্রের সক্রিয় ০২(দুই) জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া পুলিশ। মানব পাচার মামলার রহস্য উম্মোচনে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম এক সংবাদ সম্মেলন করেন।

শনিবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।গ্রেফতাকৃতরা হলেন- জেলার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালী সরদারপাড়া গ্রামের মো. রেজাউল করিম হিমেল (৪০) ও একই উপজেলার মাদিয়া ত্রিমোহনী পাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে পারভেজ রানা (২৭)।
লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার জানান, এক লাখ টাকা বেতনের লোভ দেখিয়ে উপজেলার মো. রেজাউল করিম হিমেল (৪০), ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার ইদ্রিস আলীর ছেলে বর্তমানে কম্বোডিয়া শোভন হোসেন ও একই উপজেলার চৌধর মণ্ডলের ছেলে ইদ্রিস মণ্ডল (৪৭) দৌলতপুর উপজেলার সাদীপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের বড় ছেলে ইশরাক শাহরিয়ার জয়কে কম্বোডিয়া নিয়ে যান। সেখানে দুই মাস চাকরি করার পর কম্বোডিয়া প্রবাসী শোভন হোসেন তাকে জিম্মি করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং জয়ের পরিবারের কাছে আট লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। জিম্মি অবস্থায় জয়কে ২-৩ দিন না খাইয়ে ইলেকট্রিক শকসহ নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।তিনি জানান, ছেলের প্রাণ রক্ষার্থে আব্দুস সামাদ আত্মীয়-স্বজনের কাছে ধার করে বিকাশের মাধ্যমে প্রথমে ৪ লক্ষ টাকা পরে আরও ৬০ হাজার টাকা দেন। মুক্তিপণ বাবদ আরও তিন লাখ টাকা না পেয়ে তার কাছে থাকা এক লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি আই ফোন, ৩৫ হাজার টাকার মূল্যের ওয়ান প্লাস ফোন, নগদ ৯০ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট রেখে ছেড়ে দেন। পরে জয় বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ান দূতাবাসের সহযোগিতায় ২৬ সেপ্টেম্বর দেশে আসেন। এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর ইশরাক শাহরিয়ার জয়ের বাবা আব্দুস সামাদ মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে মো. রেজাউল করিম হিমেল ও মো. পারভেজ রানাকে গ্রেফতার করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেলা বিশেষ শাখা মো. ফরহাদ হোসেন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবু রাসেল, ডিআইও ১, জেলা বিশেষ শাখা, আরওআই, রির্জাভ অফিস, অফিসার ইনচার্জ, সাইবার ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশন ইউনিট, কুষ্টিয়াসহ জেলা পুলিশের সংশ্লিষ্ট অফিসার ও ফোর্সসহ ইলেক্ট্রিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।