নিজস্ব প্রতিনিধি:

শিক্ষকদের হাত ধরেই শিক্ষা ব্যবস্থার রুপান্তর শুরু এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় র‌্যালি শেষে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অডিটরিয়ামে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ব্র্যাকের সহযোগিতায় কুষ্টিয়া জেলার সকল কলেজ, হাইস্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের অংশগ্রহণে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ চত্বর থেকে র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি কাটাইখানা মোড় হয়ে শহরের এনএস রোড সহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। র‌্যালি শেষে সরকারি কলেজ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু স্কয়ার চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। পরে কলেজ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী মনজুর কাদির। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার একরামুল হক সরকার, কুষ্টিয়া সরকারি সেন্ট্রাল কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আজমল গনি আরজু, সরকারি কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আনছার হোসেন, জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এফতেখারুল ইসলাম, কুওয়াতুল দাখিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ তারিকুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ঝাউদিয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নুরজাহান শারমিন। র‌্যালি সহ আলোচনা সভায় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বালিয়াপাড়া কলেজ অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেবুন নিসা সবুজ প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন ও খালেদুজামান। প্রভাষক শাহরিয়ার হোসেন, সার্বিক অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে সহযোগিতা করেন সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক লাল মোহাম্মদ সহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মানুষের মধ্যে যেসব গুণ রয়েছে, শিক্ষা সেগুলোকে বিকশিত করে। শিক্ষা মানবজীবনকে পরিশীলিত করে। তাই শিক্ষা জাতীয় উন্নতি ও অগ্রগতির ধারক ও বাহক। এজন্য শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। শিক্ষা কথাটি এলেই প্রথমে যে কথাটি আসে তা হলো শিক্ষক। শিক্ষক হলো শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র। কেননা, শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত উতকর্ষ নির্ভর করে শিক্ষকের পেশাগত দক্ষতা, নিষ্ঠা ও প্রচেষ্টার ওপর। মেধাবী ও নিষ্ঠাবান শিক্ষকগণই মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রের সংকট উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।

উল্লেখ,শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষক সংগঠনগুলো এই কর্মসূচি হাতে নেয়। এবারই প্রথমবারের মতো ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশে ‘শিক্ষক দিবস’ পালন করার ঘোষণা করে সরকার। দিবসটি পালন করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা আশার প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়ায় দিবসটি উদযাপন করা হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে থাকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। এই দিবসটি শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য পালন করা হয়। ইউনেস্কোর মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পালন করা হয়। বিশ্বের প্রায় ১০০টির মতো দেশ এ দিবসটি পালন করে। সে লক্ষ্যে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে শিক্ষক দিবস।