1. admin@protisomoyersomachar.com : admin : chayan ahmed
গড়াই নদীর ভাঙনে এবার গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্প হুমকির মুখে - দৈনিক দিনের সমাচার
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুষ্টিয়া সদরের আব্দালপুর-ঝাউদিয়া ইউনিয়নে বিএনপির ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ ও লক্ষী পূজা মন্দির পরিদর্শন  জাল সনদে চাকরি নেওয়া কুষ্টিয়ার আওয়ামী লীগ নেত্রী চাকরিচ্যুত কুষ্টিয়া চেম্বারের পরিচালকের সাথে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) শুভেচ্ছা বিনিময় তারুণ্যের শক্তিতেই মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব — জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশের প্রধান হলেন সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক কুষ্টিয়ার পাঁচ ইউনিয়নে সদর উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির শুভেচ্ছা বিনিময় কুষ্টিয়ায় রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে চিকিৎসার টাকা লুট কুষ্টিয়ার পাঁচ ইউনিয়নে সদর উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির মতবিনিময় নেতাকর্মীদের বই উপহার দিয়ে প্রশংসিত জিয়া সাইবার ফোর্সের নেতা পলাশ কুষ্টিয়ায় বাসের ধাক্কায় নারী আইনজীবীর মৃত্যু

গড়াই নদীর ভাঙনে এবার গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্প হুমকির মুখে

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ১২৭ বার পঠিত প্রিন্ট করুন




এইচ এম ইমরান, ঝিনাইদহঃ





ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গড়াই নদীর পানি কমতে শুরু করায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। তীব্র এ ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হবে সরকারি গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্প। ঝুঁকিতে রয়েছে এসব গ্রামের শত শত বসতবাড়িও।

জানা গেছে, গড়াইয়ের ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে অনেকেই এখন নিঃস্ব। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের তীব্রতা বেশি দেখা দিলেও এই সময়ে পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙনের ভয়াল রূপ দেখা দিয়েছে। গড়াইয়ের পাড়ে বসবাসরত মানুষের দিন কাটছে প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে। দুই যুগের বেশি সময় ভাঙন রোধে ক্ষতিগ্রস্ত এসব এলাকায় সরকারি কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনকি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধও নেই।

সরেজমিনে উপজেলার ৭নং হাকিমপুর ইউনিয়নের মাদলা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নদী ভাঙনে একের পর এক বিলীন হচ্ছে বসত ভিটা, ফসলি জমি। রাতের আঁধারে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে বাসিন্দাদের পৈতৃক ভিটাসহ বেঁচে থাকার শেষ স্থানটুকু।

স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙনে কয়েকদিন ধরে একের পর এক বসতভিটা বিলীন হচ্ছে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের বাড়িঘর। শুধু থাকার জায়গা নয়, ফসলি জমি, গাছপালা বিলীন হলেও কিছু যেন করার নেই নদী তীরের বাসিন্দাদের।

গত কয়েক দিনে উপজেলার মাদলা, উলুবাড়িয়া, নলখোলা, বড়ুরিয়া, কৃষ্ণনগর, মাঝদিয়া গ্রামে প্রায় অর্ধশত বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

মাদলা গ্রামের সোবাহান মণ্ডল বলেন, এর আগেও আমরা দুবার বাড়ি সরিয়েছি। জমি-জায়গা যা ছিল সবই নদীতে চলে গেছে। এবারও নদীতে বাড়ির অর্ধেক চলে গেছে। সরতে সরতে আর জায়গা নেই। এইটুকু জমি আছে। এবার চলে গেলে নিঃস্ব হয়ে যাব।

একই গ্রামের ফারুক মিয়া বলেন, আমরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। শিগগিরই নদীভাঙন রুখতে না পারলে গুচ্ছগ্রাম, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর, ভিটেমাটি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড অস্থায়ী জিও ব্যাগ ফেলে যে ব্যবস্থা নেয় তা কোনো কাজে আসে না। সরকারের টাকাগুলোই নষ্ট হয়। তাই আমাদের দাবি ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা উচিত।

সহায়-সম্বল হারানো পশ্চিম গ্রামের হাসিনা বেগম বলেন, ‘ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে এখন অনেকটাই নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার পরিবারের সবাই চলে গেলেও আমি স্বামীর ভিটা আঁকড়ে ধরে আছি। বর্তমানে খুব কষ্টে দিন পার করছি। আমার পরিবারের অন্য সদস্যরা অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।’

হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান জিকু বলেন, খুলুমবাড়ি থেকে কাশিনাথপুর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গড়াই নদে মিশে গেছে। অনেক বসতভিটাসহ ঝুঁকিতে রয়েছে গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো। অতি দ্রুত সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ভাঙন রোধে কয়েকটি স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে হাতে নেয়া হয়েছে প্রকল্প। আশা করছি দ্রুত প্রকল্প পাস হবে। পাস হলেই শুরু হবে কাজ।

এই ক্যাটাগরির আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক দিনের সমাচার
Theme Customized By Theme Park BD
error: Content is protected !!