শুক্রবার , ১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল

পর্ব-১-  কি অবস্থা ভেড়ামারায় ৬ বছর আগের নিশাত হত্যা মামলাটির

প্রকাশিত হয়েছে -





শিপন আলী ভেড়ামারা প্রতিনিধি:






কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় ২০১৭ সালের ২৩ শে এপ্রিল জগশ্বর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী হিসনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় স্কুল ছাত্র নিশাতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মাথার পিছনে ফোলা জখম ছিল। নিশাতের পিতা উক্ত মামলার বাদী মরহুম সাজেদুল করিম বিদ্যুৎ মাষ্টারের ধারণা ছিল ২২ শে এপ্রিল তারিখ দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৩টা ১৫ ঘটিকার মধ্যে যেকোনো সময় অজ্ঞাত নামা আসামি বা আসামিরা তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ গোপন করার জন্য নদীতে ফেলে দিয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্টে নিশাতকে হত্যা করা হয় মর্মে প্রতিবেদন আসলে হত্যা মামলা রুজু হয় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে। ভেড়ামারা থানা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই পর্যায়ক্রমে তদন্ত করে সন্দীগ্ধ শিশু মাহফুজুর রহমান তুষারকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে এবং তদন্তে প্রাপ্ত আসামি মোঃ ওয়াসিম ও সাহেদদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০২/ ২০১/৩৪ ধারায় সম্পূরক অভিযোগ পত্র বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করা হয়। মামলাটি প্রথম দিকে ধোয়াসাচ্ছন্ন অবস্থায় ছিল। ভেড়ামারা থানার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা পর্যায়ক্রমে মামলাটি তদন্ত করেন। প্রথমে মামলাটি একটি রহস্যজনক মামলা হিসেবে থাকলেও পরবর্তীতে দীর্ঘ তদন্তে এ মামলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ পেয়ে তদন্তে ব্যাপক অগ্রগতি ঘটে। হলে মামলাটির এজাহার বহির্ভূত সন্দিগ্ধ আসামিদের বিরুদ্ধে এক পর্যায়ে অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে ওয়াসীম নামে এক সন্দীগ্ধ আসামির বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলাটি তদন্ত চলাকালীন সময়ে মামলার বাদী মারা যান। নিশাত বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র হওয়ায় এই মামলার বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহপাঠী ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও কৌতূহল রয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা লাশ উদ্ধারের পর থেকে ঘটনার পরবর্তীকালে বেশ কয়েক বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে নিশাত হত্যা মামলার রহস্য জট খোলার বিষয়ে নানা ধরনের তথ্য উপাত্ত দিয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখেন। নিশাত হত্যা মামলার সম্পূরক অভিযোগ পত্র দাখিলের পরও বাদীপক্ষ বিজ্ঞ আদালতে নারাজি দেয়। প্রথম তিন -চার বছরে মামলা তদন্তে কোন ধরনের অগ্রগতি না থাকলেও পরবর্তীতে তদন্ত কিভাবে হঠাৎ গতি পেল অথবা এই মামলার ঘটনা পরিক্রমা ও সাক্ষী সাবুদের ভিত্তিতে কিভাবে আসামিরা নিশাত হত্যার সাথে জড়িয়েছেন বা সংশ্লিষ্ট হয়েছেন সে বিষয়ে জনসম্মুক্ষে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। (চলবে)