শুক্রবার , ১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল

কুষ্টিয়ায় চাঞ্চল্যকর ৯ টুকরো করে যুবককে হত্যার ঘটনায় ৬ জনকে আদালতে সোপর্দ

প্রকাশিত হয়েছে -




নিজস্ব প্রতিবেদক:





কুষ্টিয়ায় চাঞ্চল্যকর ৯ টুকরো করে মিলন (২৭) নামের এক যুবককে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ছয়জনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আদালতে নেওয়া আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি সজীব শেখ (২৪), কুমারগাড়া এলাকার ফয়সাল আহমেদ (২৫), দেশওয়ালীপাড়ার কাজী লিংকন (৩২), সদর উপজেলার কান্তিনগর গ্রামের জনি প্রামাণিক (২১), হাউজিং সি ব্লকের ইফতি খান ও ডি ব্লকের সজল ইসলাম (১৮)। তাঁদের মধ্যে সজল ও ইফতির বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নিহত মিলনের লাশ দাফনের পর তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্য থানায় আসেন। পরে নিহত ব্যক্তির মা শেফালি খাতুন বাদী হয়ে কারও নাম উল্লেখ না করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার সময় মিলনের স্ত্রী মিমি খাতুন, দুলাভাই আশরাফুল ইসলামসহ গ্রামের আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। মামলার বিষয়ে জানতে বাদী শেফালি খাতুন ও মিলনের স্ত্রী মিমি খাতুনের মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তাঁরা ধরেননি। তবে নিহত ব্যক্তির দুলাভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, থানায় গিয়ে ওসির কক্ষের বাইরে ছিলেন তিনি। তাঁর শাশুড়ি ও মিলনের স্ত্রী ওসির কক্ষে ঢুকেছিলেন। মামলায় আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে কি না, তিনি জানেন না।

উল্লেখ্য গত ৩১ জানুয়ারি (বুধবার) কয়েকজন যুবক মিলনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর বাড়িতে না ফিরলে মিলনের স্ত্রী মিমু খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে সজলকে থানায় ডেকে নেয় পুলিশ। সজলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চার ঘণ্টার মধ্যে সজীব সহ  চারজনকে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।আটকের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত পদ্মার চরে অভিযান চালিয়ে মিলনের ৯ টুকরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

মিলন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহিরমাদি গ্রামের মাওলা বক্স সরদারের ছেলে। স্ত্রী মিমি খাতুনকে নিয়ে তিনি কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকার ই ব্লকে ভাড়া থাকতেন। টেক্সটাইল প্রকৌশলে পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন তিনি।