নিজস্ব প্রতিবেদক:
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ‘ছায়াতল বাংলাদেশ’ এনজিওর সেচ্ছাসেবী “রনক মাহমুদ “। দীর্ঘদিন ধরে রনক সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি। ঢাকার শ্যামলীতে পথশিশুদের জন্য ০৪ টি বিদ্যালয় পরিচালনা করেন ‘ছায়াতল বাংলাদেশ’। এতে স্থান পাওয়া সবাই সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র শিশু। এদের আরেক পরিচয় পথশিশু কিংবা স্ট্রিট চিলড্রেন। বলা যায়, এদের বেড়ে ওঠা নগরীর রাস্তাঘাট, বস্তি, ফুটপাত আর পার্কে। ঘুরে ঘুরে মানুষের কাছে হাত পেতে পাওয়া টাকা দিয়েই তারা জীবন ধারণ করতেন। তবে এখন তারা একটি ছায়াতল খুজেঁ পেয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে সোহেল রানার হাত ধরে ছায়াতল বাংলাদেশ এনজিও যাত্রা শুরু করে। তখন থেকেই রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ানো, বস্তিতে থাকা শিশুদের স্বপ্ন দেখাতে ছায়াতল বাংলাদেশ কাজ শুরু করে। শুরু হয় শিশুদের লেখাপড়া শেখানো। বিনামূল্যে বই, খাতা, কলম ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয় তাদের। প্রতি মাসে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করে শিশু ও তার পরিবারকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও উৎসব অনুষ্ঠানে পোশাক বিতরন, বিনোদনের খোড়াক যোগাতে গান, নাচ, খেলাধুলার আয়োজন ও পুরস্কার বিতরন করা হয় শিশুদের মাঝে। আর কমিউনিটি সেন্টারের বেঁচে যাওয়া অবশিষ্ট খাবার সংগ্রহ করে বাচ্চাদের খাওয়ানো হয়। এমনকি সেলাই মেশিন, মোবাইল সার্ভিসিং, হ্যান্ডি ক্রাফটস, কম্পিউটার ট্রেনিংসহ কর্মমূখী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বর্তমানে শিশুদের।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সোহেল রানা জানিয়েছন, আমরা চেষ্টা করছি সুবিধাবঞ্চিত এই পথশিশুদেরকে একটা রাস্তা দেখাতে। কিন্তু এই শিশুদের বেশির ভাগের মায়েরা বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করেন। তারা মনে করে, অষ্টম শ্রেণির পর মেয়েদের বিয়ে দিতে হবে। আর পড়া লেখার প্রয়োজন নেই। আমরা চেষ্টা করলেও খুব একটা ফল পাওয়া যায় না। এবিষয়ে রনক মাহমুদের সাথে কথা বললে তিনি আমাদের জানান, আমাদের লক্ষ্যঃ- সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবনমান ও পারিবারিকভাবে স্বনির্ভর করা।
ছায়াতল বাংলাদেশ নামের এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান কিভাবে পরিচালিত হয় সেবিষয়ে জানতে চাইলে ছায়াতল বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, ছায়াতল বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে গভর্নিং বডির মাধ্যমে। তিনি নিজে চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাহিনুর, ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন তাওহিদুন্নাহার । যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে আছেন রনক মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ হিসেবে আছেন ইসরাত জাহান জয়া। এ ছাড়া, বাকি সবাই গভর্নিং বডির বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন।