মোঃ রবিউল ইসলাম হৃদয় :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে কুষ্টিয়ায় সংরক্ষিত নারী(এমপি) আসনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করে জমা দিয়েছেন কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির সাবেক দুদকের পিপি ও জেলা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি এবং জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ খন্দকার সামস্ তানিম (মুক্তি)।
মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) ঢাকা ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করে (০৮ ফেব্রুয়ারী) জমা দেন তিনি। ফরম নিয়ে জমা দেওয়ার পরে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে তিনি আশাবাদী বলেও জানিয়েছেন।
এ্যাডঃ খন্দকার সামস্ তানিম (মুক্তি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের তৎকালীন আওয়ামী রাজনৈতিক একনিষ্ঠ কর্মী কুষ্টিয়া বিশিষ্ট ঠিকাদার মৃত খন্দকার
আক্কেল আলীর কন্যা। তার পিতা ১৯৫০ সাল থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া আওয়ামী লীগের সাথে স্বতর্ফুতভাবে রাজনীতি করেন। তিনি আদর্শ সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় রাজনীতি করেছেন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী আজিজুর রহমান আক্কাস ও সামছুল আলম দুদুর কমিটির সক্রিয় সদস্য হিসেবে
দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত সময়ে তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সাথে দেশের সকল প্রকার গঠনমূলক ও উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের সাথে সহযোদ্ধা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার হওয়া সত্তেও মূল দল সহ অঙ্গ সংগঠনকে আর্থিক সহযোগীতা, জনবল ইত্যাদি সহযোগিতা করেছেন। যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তার ভূমিকা ছিল অকল্পনীয়। তার অনুপ্রেরনায় এ্যাডঃ খন্দকার সামস্ তানিম (মুক্তি)’র রাজনীতির হাতে খড়ি।এগার ভাই বোনের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ। তার সকল ভাই-বোনেরা বর্তমানে প্রবাসী। তারা সকলেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। এ্যাডঃ খন্দকার সামস্ তানিম (মুক্তি)’র পরিবার সব সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংগঠনের সফলতা কামনা করেন।
এছাড়াও এ্যাডঃ খন্দকার সামস্ তানিম (মুক্তি)
কুষ্টিয়া আইনজীবী বারে ১৯৯৮ সাল হইতে অদ্যাবদি জড়িত আছেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্ভূক্ত ২০০১ সাল হইতে অদ্যাবদি আছেন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দুদকের পিপি হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন। ২০১৫ সাল হইতে অদ্যাবদি কুষ্টিয়া জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ্যাডঃ খন্দকার সামস্ তানিম (মুক্তি) শিক্ষা জীবন থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনৈতির সাথে জড়িত ছিলেন।কুষ্টিয়া ইসলামীয়া ইউনিভার্সিটি (ইবি)’তে পড়াশুনার সময় ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইবি হল শাখার ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। ২০০২ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ন-আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১৫ সাল থেকে অদ্যবধি কুষ্টিয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, “আমি যেহেতু একজন রাজনীতিবীদ ও আওয়ামীলীগ পরবারের সন্তান , আমি সবসময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম। আমি বরাবরই নারীদের উন্নয়ন করতে চাই। সেই জায়গা থেকেই যদি আমাকে সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহলে আমি মানুষের জন্য কাজ করব। আপনারা সবাই দোয়া করবেন, আশীর্বাদ করবেন আমি যেন লক্ষ্য পূরণ করতে পারি।”
এমপি নির্বাচিত হলে নারীদের উন্নয়নে কী ভূমিকা রাখবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি তরুণদের নিয়ে কাজ করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে তরুণদের সাথে কাজ করে চলেছি দীর্ঘদিন। নির্বাচিত হতে পারলে শিল্পীদের উন্নয়নের স্বার্থে এবং নিপিড়ীত মানুষের অধিকার আদায়ে আরও কাজ করতে পারব বলেই মনে করি।