শিপন আলী, ভেড়ামারা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চন্ডিপুর বাজারে জিকে ৪ নং ব্রিজ সংলগ্ন গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের ক্যানেলের পাশে অভিনব কায়দায় স্থানীয় লোকজনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছেন জনৈক মান্নান ডাক্তার নামের এক ভূমি দস্যু। নিজে ডাক্তার হওয়ায় ফার্মেসি স্থাপনের জন্য ইটের দেয়াল নির্মাণ করায় সে।
পরে যাতে কেউ ইটের দেয়াল দেখতে না পারে সেজন্যে চারপাশে টিন দিয়ে ঘিরে দিয়েছে ধূর্ত এই ভুমি দস্যু। মান্নানের দেখাদেখি আশেপাশের আরো লোকজন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জায়গার উপরে স্থাপনা নির্মাণ করছেন বা করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। সরেজমিন পরিদর্শন কালে প্রথমে মান্নান ডাক্তারের নির্মানাধীন স্থাপনাকে টিনের ঘর বলে ভ্রম হয়। কিন্তু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় এর চারপাশে ইটের দেয়াল ইতোমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। এ যেন প্রদীপের নীচে অন্ধকার। এ ব্যাপারে জানার জন্য অভিযুক্ত মান্নান ডাক্তারের খোঁজ করা হলে তাকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তার নিজগ্রাম মিরপুর উপজেলার বারাদি বাজারে গিয়ে মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাকে ফোন দিলে তিনি জানান তিনি মাগুরায় আছেন। কার হুকুমে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছেন এই প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রতিবেদক এর কাছে বলেন তিনি নিজের ইচ্ছায় এবং পরিকল্পনায় এই কাজ করছেন।
এদিকে জিকে ক্যানেল এর পাশে সরকারি জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের যেন হিড়িক পড়েছে। প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কেউই নিজ উদ্যোগে এগুলোর খোঁজখবর খুব একটা রাখার চেষ্টা করেন না। কালেভদ্রে সাংবাদিকরা প্রতিবেদন প্রকাশ করলে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে ও লিখিত প্রতিবেদন ভাইরাল করতে পারলে তবেই সেই প্রতিবেদন দেখে নির্বাহী প্রশাসন ও পিডব্লিউডি এর যৌথ অভিযান পরিচালিত হবার রেওয়াজ রয়েছে এখানে।
ভূমিদস্যূ মান্নান ডাক্তারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও তা গোপন রাখার চেষ্টার বিষয়ে অবগত করানোর জন্য ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলীর মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি সন্ধ্যায় ইফতারের পরে ফোন দেয়ার জন্য প্রতিবেদককে বলেন।
এলাকাবাসী এখানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।