নিজস্ব প্রতিবেদক :

কুষ্টিয়ায় লালন অনুসারী চাইনা বেগমের ঘর ভাঙ্গার প্রতিবাদে লালন শাহ মাজারের সামনে লালনের অনুসারীদের নিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুর দুই টায় সাধুদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন সাধুরা এ ঘর ভাঙ্গার প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে জেলা প্রশাসকের কাছে  স্মারক লিপি  প্রদান করেছে চায়না বেগম।

জানা যায় সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামে লালন সাঁইয়ের অনুসারী চায়না বেগমের ঘর ভেঙে দেয়া হয়েছে। ঘর ভাঙার সময় প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি।

ঘটনার পর চায়না বেগম কুষ্টিয়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ তাতে বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য এনামুল হক, মাতব্বর মোশারফ হোসেন, আনার মণ্ডল ও সাইদুল হাজির নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪৫-৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে৷

মৃত্যুর আগে চায়না বেগমের স্বামী গাজীর উদ্দিন ফকির তাকে বলেছিলেন,কোথাও জায়গা না হলে তুমি আমার কবরের পাশেই থাকবা৷ প্রতি বছর বাতাসার সিন্নি হলেও করবা। লালন সাঁইয়ের অনুসারী চায়না বেগমও চেয়েছিলেন জীবনের শেষ দিনগুলো স্বামীর কবরে মাথা ঠেকিয়ে কাটিয়ে দেবেন৷ ভিটেমাটিতে প্রতিদিন জ্বালাবেন সন্ধ্যা প্রদীপ৷ তার সেই চাওয়া পূরণ হলো না৷”

লিখিত অভিযোগে চায়না উল্লেখ করেছেন, গত বুধবার (২৬ জুন) সকাল ৬টার দিকে অভিযুক্তরা তার ঘর ভাঙচুর করেন। এতে তার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া, তারা চায়নাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে এনামুল হক বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধা বাড়ি করেছেন একটি মাঠের মধ্যে ফাঁকা জায়গায় সেখানে যাওয়ার পথ নেই, তাকে দেখারও কেউ নেই৷ এছাড়া কিশোর গ্যাংয়ের আস্তানা হওয়ার  আশঙ্কায় তার ঘরটি এলাকাবাসী ভেঙে দিয়েছে ওই বৃদ্ধা চাইলে আমরা রাস্তার পাশে বাড়ি করে দিতে পারি৷ কিন্তু উনি সেখানেই থাকতে চান।

অভিযোগের তদন্তভার পেয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুজ্জামান। তিনি বলেন,উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে, তারা উপস্থিত হয়ে বৃদ্ধার  ঘর করে দেয়ার অঙ্গীকার করেছে।