বুধবার , ৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল

ভুয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়দাতা সাবেক বরখাস্ত জেলা সাব রেজিস্টার ফজলার রহমান

প্রকাশিত হয়েছে -




মোঃ জুয়েল খান খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি:





দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বাগেরহাট শহরের জেলা রেজিস্টার কার্যালয় থেকে মোঃ ফজলার রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় তাকে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। জানা যায়, সাব রেজিস্টার ও জেলা রেজিস্টার থাকা অবস্থায় দূর্নীতি করে তিনি বিপুল পরিমান অর্থ সম্পদ উপার্জন করেছেন। এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ফজলার রহমান নিজেকে প্রভাবশালী মনে করেন তিনি কখনো কখনো প্রভাবশালী নেতার খুব কাছের আত্মীয় অথবা বিয়াই বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন, কিছুদিন ধরে এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ফজলার রহমান নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবেও পরিচয় দিয়ে আসছেন এ ব্যাপারে ফজলার রহমানের কাছে জিজ্ঞেস করলে মেলেনি কোন সৎ উত্তর ফজলার রহমানের গ্রামের বাড়ি আলফাডাঙ্গা, কুচিয়া গ্রামে গিয়ে,জানা যায় ফজলার রহমান কোনদিনই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা লিস্টেও তার নাম পাওয়া যায়নি তবে এই ফজলার রহমানের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর মান্নান মোল্লা একজন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা, ফজলার রহমান একজন সাবেক বরখাস্ত সরকারি কর্মকর্তা হয়েও নিজেকে কেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিলেন এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই ফজলার রহমানের সাবেক কাজের বুয়া ফ্যামিলি ও আপন দুই মামাতো ভাইকে আতঙ্কে রাখার জন্যই তিনি নিজেকে ভুয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়েছেন এমনকি নিজের লিজ নেওয়া জমির উপরে ও মুক্তিযোদ্ধার সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন তিনি,একজন শিক্ষিত লোক হয়েও তিনি নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে, সত্যি কারের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানহানি ও প্রতারণা করেছেন, ভুয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় প্রদানকারীর ফজলার রহমান বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে ও নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উপস্থাপন করে থাকেন বাগেরহাট জেলার উকিলবার থেকে শুরু করে কোট প্রাঙ্গণেও তিনি নিজেকে ফ্রিডম ফাইটার বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান বলেন ফজলার রহমান কোনদিন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না যুদ্ধকালীন সময়ে তার বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর ৩ মাস আমরা তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিনিও না, তবে তার বড় ভাই শাহাবুদ্দিন মিয়া ও পিতা আব্দুল মান্নান মোল্লা বীর মুক্তিযোদ্ধা বলে আমরা জানি, তবে ফজলার রহমান কেন নিজেকে ভুয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিচ্ছেন তা আমাদের জানা নেই, ভুয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলার রহমানের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আলফাডাঙ্গা উপজেলার কুচিয়া গ্রামের সাধারণ মানুষ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ,এছাড়াও মোড়লগঞ্জের শিক্ষক পরিবার মামাতো ভাই ।