কুষ্টিয়ায় বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে পৌরবাজারে মনিটরিংয়ে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এসময় কাঁচামাল, মাছ, মাংস, পেঁয়াজ-রসুন, মসলাসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যাচাই করেন।
জেলা শহরের পৌর বাজারে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, মাংসের বাজারে মূল্যতালিকা টাঙিয়েছে। তালিকা অনুযায়ী ঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তাও দেখছেন শিক্ষার্থীরা।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য পাইকারি বাজারের সিন্ডিকেটকে দায়ী করে বিক্রেতারা বলেন, ইজারা ফি কমানো, চাঁদাবাজি বন্ধসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বাজার মনিটরিং টিমের এক শিক্ষার্থী জানান, সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এজন্যই আমরা কুষ্টিয়ার পৌরবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে মনিটরিংয়ে যায়। আমরা আড়তে, পাইকারি-খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে দ্রব্যের দাম নিয়ে কথা বলি। উনারা আমাদের জানিয়েছেন এখন থেকে সীমিত মুনাফায় বিক্রি করবেন।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আমরা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে তাদের অতিরিক্ত মূল্যে জিনিসপত্র বিক্রি না করার আহ্বান জানিয়েছি। কোনো পণ্যের দাম অযথা বাড়ালে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে কমতে শুরু করেছে পণ্যের দাম। তাদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
ক্রেতারা জানান, শিক্ষার্থীরা যদি ঘন ঘন বাজার মনিটরিং করে তাহলে পণ্যের দাম আরও কমে আসবে। যারা বিভিন্ন অজুহাতে সিন্ডিকেট করছেন তারা বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবে না।