শিপন আলী :
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার বিত্তিপাড়ায় অবস্থিত শাহ সুফি ঘোড়েশাহ বাবা’র দরবার শরীফে নগদ অর্থসহ ক্রয় ভাউচার চুরি হয়েছে। ভেড়ামারা থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ক্রয় ভাউচার চুরি হওয়ায় পুণ্য ক্রয় থেকে শুরু করে যাবতীয় মালামালের ক্রয় হিসাবের ডকুমেন্ট অপ্রকাশিত থাকবে মর্মে জনমনে ব্যাপক সন্দেহের তৈরি হয়েছে। তাই ভক্ত অনুরাগীরা বলছেন পরিকল্পিত চুরি। গত ৩১শে আগস্ট শনিবার রাতে শরীরে পাটি (বসার কাপড়) পেঁচিয়ে সিসি ক্যামেরা থেকে নিজেকে আড়াল করে এই চুরি সংগঠিত করে। ঘোড়শাহ দরবার শরীফের হিসাব রক্ষক শুভ জানিয়েছেন, “গত শনিবার রাতে দরবারের অফিস কক্ষের পিছন দরজা ভেঙে চোর ৪৩ হাজার ৬৬৬ টাকা এবং ক্রয় রশিদসহ কাঠের বাক্স নিয়ে গেছে। ” ক্রয় রশিদ না থাকায় হিসাবের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের সম্মুখীন হবে কিনা এই মর্মে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, “যদিও ক্রয়ের সমস্ত হিসাব প্রত্যহিক খাতায় লেখা থাকে, তারপরেও ক্রয় রশিদ না থাকায় সেটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে।তবে যা কিছু ক্রয় করা হয়েছে তার সমস্তই সভাপতি ও সেক্রেটারির পরামর্শক্রমেই করা হয়েছে।” ঘোড়েশাহ দরবার শরীফে বৈশাখ মাসে যে বাৎসরিক মেলা হয়, সেই মেলা থেকে প্রাপ্ত অর্থের হিসাব করা হয়েছে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কত টাকা কালেকশন হয়েছে সেটার হিসাব হয়েছে, কিন্তু মিটিং ডেকে তা আমরা এখনো প্রকাশ করতে পারি নাই। ঘোড়েশাহ দরবার শরীফের সভাপতি ধরমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল হক বলেন, মাজারে চুরির বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। নগদ টাকাসহ আয় ব্যয়ের ভাউচার এবং বাক্স নিয়ে গেছে। ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম বলেন, মাজারে চুরি হওয়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ পড়েছে। মুখ ঢেকে চুরি করায় এখনো চোরকে শনাক্ত করতে পারি নাই।তদন্ত পরবর্তী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।