নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পাওনা টাকা আদায়ে স্থানীয় নেতা ও মাদবরের দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলো জলি খাতুন। বিষয়টি জানতে পারে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউপির কচি মেম্বরের। তিনি জলি খাতুনকে গ্রাম আদালতে বিচার পাওয়ার বিষয়টি অবগত করেন। গ্রাম আদালতে দেওয়ানী মামলায় ২০ টাকা আর ফৌজদারী মামলায় ১০ টাকা ফি দিয়ে বিচার পাওয়া যায়। সল্প খরচে বিচার পাওয়ার কথা শুনে, উপজেলার নওদাখাড়ারা গ্রামের শাহিন মন্ডলের স্ত্রী জলি খাতুন বাদী হয়ে বাহিরচর ইউনিয়নে বাহিরচর বারোদাগ গ্রামের মাহাতাব সর্দারের পুত্র শাহাবুল এর নামে পাওনা ৩লক্ষ টাকা আদায়ে (দেওয়ানী) মামলা করেন। গত ১১ জুন ২০২৪ তারিখ মামলার আবেদন করেন। যার মামলা নং- ০৭/২৪। গ্রাম আদালত আইন অনুসারে জলি খাতুনের নিকট থেকে বাহিরচর ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম ২০টাকা ফিস গ্রহণ করেন।
এ মামলার আবেদনটি বাহিরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রওশন আরা পর্যালোচনা করে দেখেন এবং সমন জারির নির্দেশনা দেন। মামলাটি নিষ্পত্তি করতে ২৫ জুন ২০২৪ তারিখ দিন ধার্য করা হয়। উক্ত দিনে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আপোষ মিমাংসা হয়। এ বিষয়ে বাহিরচর ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যানের যথাযথ পদক্ষেপে জলি খাতুন পনের দিনের মধ্যে তার পাওনা ৩লক্ষ টাকার দাবীতে ২লক্ষ ৭০হাজার টাকা বুঝিয়া পায়। এসময় জলি খাতুন উক্ত টাকা বুঝিয়া পাইয়া গ্রাম আদালতের বিচার কার্যের প্রতি খুশি হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গত দুই বছর যাবৎ আমি পাওনাদারের কাছে টাকার জন্য ঘুরেছি। কোন ফলাফল পাই নাই। আমাকে কচি মেম্বর অবগত করলে গ্রাম আদালতে ন্যায় বিচারের জন্য আবেদন করি। তিনি আরো বলেন, গ্রামের অসহায় মানুষের ন্যায় বিচার পেতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা অপরিসীম। গ্রাম আদালত না থাকলে এতো অল্প সময়ে ন্যায় বিচার পেতাম না। কোর্টে গেলে অনেক টাকা খরচ হতো, দৌড়াদৌড়ি করতে হতো, অনেক সময় লাগতো। তার চেয়ে আমাদের গ্রাম আদালতই ভালো বলে জানান তিনি।