সমাচার ডেস্ক অনলাইন :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক মুসলিম হলে ঢাবিতে ‘চোর’ সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলেন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মুত্তাকীন সাকিন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন জানিয়ে এজাহার দায়ের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে আবেদনটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, মোট ৬ শিক্ষার্থীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
জানাযায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ৭টা ৪৫মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের অতিথি কক্ষে চোর সন্দেহে অজ্ঞাতনামা কিছু লোক কর্তৃক এক ব্যক্তিকে চড় থাপ্পড় ও মারধর করার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে হলের দক্ষিণ ভবনের অতিথি কক্ষে তাকে আবারো বেধড়ক মারপিট করা হয়। এক পর্যায়ে তার অচেতন হয়ে পড়ার সংবাদ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনা শাহবাগ থানায় অবহিত করলে পুলিশ মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। ঢকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন পূর্বক নিহতের লাশ তার আত্মীয়-স্বজনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের নাম তোফাজ্জল হোসেন (৩৫)।
এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা রুজু হবার পর তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়াল বডি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেছেন। আটককৃতরা হলেন- মো. জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, মো. মোত্তাকিন সাকিন, আল হুসাইন সাজ্জাদ, আহসানউল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম।
ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, জড়িতদের চিহ্নিতকরণ ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে।