বুধবার , ৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল

ঈশ্বরদীতে পদ্মার চরে বিষ প্রয়োগে ১৬টি গরু হত্যার অভিযোগ 

প্রকাশিত হয়েছে -




শিপন আলী স্টাফ রিপোর্টার।।





ঈশ্বরদীর পাকশীর চররূপপুরের পদ্মার চরে বিষ প্রয়োগে ১৬টি গরু হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে গবাদি পশুর চারণভূমির পাশের এক কলা ক্ষেতের কলা গাছ খেয়ে এসব গরু বিষক্রিয়ায় মারা যায় বলে ভুক্তভোগীরা জানান।এ ঘটনায় আরও প্রায় ২০টি গরু অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় গরু গুলোকে চরে ঘাস খাওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ঘাস খাওয়ার এক পর্যায়ে গরু গুলো চরের একটি কলা বাগানের কিছু চারা কলা গাছ খেয়ে ফেলে। এরপর চরের মাঠ থেকে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে মাঠেই মরে যায় ৫টি গরু। পরবর্তীতে নদীর কিনারায় এসে মারা যায় আরো ৩টি গরু। এবং বাড়িতে এসে মারা যায় আরও কয়েকটি গরু। এরমধ্যে কয়েকটি গরু জবেহ করা হয়।

মারা যাওয়া গরু গুলো মালিকদের মধ্যে মফেজ্জল বিশ্বাসের ৯টি গরু, সাহাবুল বিশ্বাসের ৩টি, জয়নাল বিশ্বাসের ১টি, বিকুল প্রামানিকের ২টি, ইকবাল প্রামানিকের ১টি সহ মোট ১৬টি গরু মারা গেছে বলে অভিযোগে জানানো হয়।

ভুক্তভুগী মফেজ্জল বিশ্বাসের ভাই এজাজ বিশ্বাস জানান, লক্ষিকুন্ডার কৈকুন্ডা গ্রামের জনৈক ড্রাগ আনিস এর জমির কলা গাছ খেয়েই মুলত: গরু গুলো অসুস্থ্য হয়ে মারা যায়। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হয়তো তিনি দানাদার বিষ ওই কলার গাছ গুলো প্রয়োগ করে রেখেছিলেন।

তিনি আরও জানান, ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আজ বুধবার সকালে গিয়ে অসুস্থ গরু গুলোকে চিকিৎসা দিয়েছে এবং মৃত গরু গুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য রক্ত, লালা এবং মাংস ল্যাব টেস্ট এর জন্য নিয়ে গিয়েছেন। তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে খাদ্যের বিষক্রিয়ার কারণে এই গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে । তবে ল্যাব টেস্টের ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তীতে গরুর মালিকদের জানানো হবে গরু গুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারন।

তবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়েছেন ল্যাব টেস্টের রেজাল্ট না পাওয়া পর্যন্ত ওই চরের জমিতে আর গবাদি পশু বিচরণ করিয়ে ঘাস খাওয়ানো যাবে না।

ঈশ্বরদী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।