নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
অপরিকল্পিত নগরায়ন, সরু রাস্তা, ফুটপাত দখল, অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ম, রাতে চলাচলকারী বালি ভর্তি ট্রলির শব্দ দুষণ, ট্রাফিক সংকট, চাহিদার চেয়ে ইজিবাইকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে যানজটে নাকাল কুষ্টিয়া শহরবাসী। প্রতিদিনই বাড়ছে দুর্ঘটনা, ভোগান্তি। নেই কোন সমাধান। শহরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করে যানজট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। দিনে-রাতে ১০টি ট্রেন যাতায়াতের ফলে বন্ধ থাকে কুষ্টিয়া শহরের ৬টি রেলগেট। যানজটের শুরু এখান থেকেই। শহরের ব্যস্ততম এলাকা মজমপুর গেট। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ইজিবাইক, রিক্সা, মটরসাইকেল, বাস, ট্রাকের সারিতে জানজটের কবলে পড়েন সাধারণ পথচারীসহ নানা বয়সী মানুষ। একই চিত্র শহরের কলেজ মোড়, হাসপাতাল মোড়, থানা ট্রাফিক মোড়, ছয় রাস্তার মোড় কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু সংলগ্ন এলাকা, চৌড়হাস-সহ প্রায় সব কটি গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টে। দুর্ভোগের যেন সীমা নেই। মানুষের চাইতে গাড়ী বেশি। অবৈধ যানবাহন, রাস্তা সরুই মুল কারণ বলে মনে করেন পথচারী ও স্থানীয়রা। দিনে সঠিক সময়ে পরীক্ষার হলে পৌঁছানো, হাসপাতালে জরুরী রোগী নেয়া কুষ্টিয়া শহরে এখন চরম ভোগান্তির কারণ এমন কথা জানালেন ভুক্তভোগীরা। আয়কর লাইসেন্সের বাহিরে অনেক বেশি ইজিবাইক শহরে চলাচল করে। প্রশাসক চাইলে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব বলে মনে করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। চাহিদার তুলনায় ট্রাফিক সংকট রয়েছে। জেলার আইনশৃংলা সভায় কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে সমাধানের। পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে খুব দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
শহরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং ফুটপাত দখল ও ইজিবাইক, ট্রলি, নসিমন করিমনসহ অবৈধ যানবাহন উচ্ছেদের বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগ জরুরী। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে শৃঙ্খলা ফিরবেনা, ঘটবে দুর্ঘটনা।
শহরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং ফুটপাত দখল ও ইজিবাইক, ট্রলি, নসিমন করিমনসহ অবৈধ যানবাহন উচ্ছেদের বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগ জরুরী। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে শৃঙ্খলা ফিরবেনা, ঘটবে দুর্ঘটনা।