1. admin@protisomoyersomachar.com : admin : chayan ahmed
কুষ্টিয়ায়  রাতের আঁধারে ইটভাটায় যাচ্ছে পানি উন্নয়নের বোর্ডের তোলা বালু - দৈনিক দিনের সমাচার
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জাল সনদে চাকরি নেওয়া কুষ্টিয়ার আওয়ামী লীগ নেত্রী চাকরিচ্যুত কুষ্টিয়া চেম্বারের পরিচালকের সাথে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) শুভেচ্ছা বিনিময় তারুণ্যের শক্তিতেই মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব — জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশের প্রধান হলেন সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক কুষ্টিয়ার পাঁচ ইউনিয়নে সদর উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির শুভেচ্ছা বিনিময় কুষ্টিয়ায় রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে চিকিৎসার টাকা লুট কুষ্টিয়ার পাঁচ ইউনিয়নে সদর উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির মতবিনিময় নেতাকর্মীদের বই উপহার দিয়ে প্রশংসিত জিয়া সাইবার ফোর্সের নেতা পলাশ কুষ্টিয়ায় বাসের ধাক্কায় নারী আইনজীবীর মৃত্যু জিয়া সাইবার ফোর্সের সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হলেন পলাশ

কুষ্টিয়ায়  রাতের আঁধারে ইটভাটায় যাচ্ছে পানি উন্নয়নের বোর্ডের তোলা বালু





নিজস্ব প্রতিনিধি ॥






কুষ্টিয়ায় এ বছর অধিকাংশ ইট ভাটায় শুরু হয়েছে ইট পোড়ানোর কাজ। আর ইট ভাটাগুলো আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পোড়ানো হচ্ছে এইসব ইটভাটায় কয়লার বদলে কাঠ -কাঁচা গাছ। গত বছরের তথ্য মতে, কুষ্টিয়া জেলায় ১শত ৯১টি ইট ভাটা রয়েছে। এদের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে অনুমোদন লাভ করেছে মাত্র ৫০টি ইট ভাটা। অবশিষ্ট ১৪১ ভাটা থেকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। প্রতি বছর পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া জেলার সকল ইটভাটাকে কাঠ পোড়ানো বন্ধ করে এবং পরিবেশ আইন মেনে ভাটা চালানোর নির্দেশ দেয়। কিন্তু কিছু ভাটা এই নিয়ম তো মানছেই না বরং উল্টো আস্ত কাঁচা গাছের গুড়ি খড়ি মজুদ ও পড়ানোর মহাউৎসবে মেতে উঠে।  কুষ্টিয়া সদরের বিভিন্ন ইটভাটায় সরেজমিনে গিয়ে কাঁচা গাছের ডাল গোড়া পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিভিন্ন ইটভাটায় চলছে ইট তৈরি কাজ। বিভিন্ন ইটভাটায় মাটির গাদি করে রেখেছে। এদিকে কুষ্টিয়া জুগিয়াতে চলছে একাধিক অবৈধ ইটভাটা। পুড়ছে কাঠ। বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ ও ফসলের মাঠ।  তা সত্ত্বেও বছরের পর বছর ওই সব ভাটা বহাল তবিয়তে ইট তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতি বছরই শুনি অবৈধ এসব ইনভাটা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু প্রশাসন সাময়িক জরিমানা করলে বা চিমনি ভেঙে দিলেও কয়েক দিনের মধ্যেই আবারও ইটভাটা প্রস্তুত হয়ে যায়। এরা আইনকে কিছুই মনে করে না। এদের খেয়াল খুশি মত ভাটা চালায়। এ দিকে শহরের পৌর এলাকা জুগিয়া গোপীনাথপুর ১৩ নং ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংরক্ষিত বালু মহল থেকে অবৈধ পন্থায় বালু লোপাট করেছেন ইট ভাটার মালিকেরা। তাছাড়াও অনুমতি ছাড়ায়ে শত শত ট্রাক বোঝাই গাছ পুড়িয়ে তৈরি করছেন ইট। কাঁদা মাটি দিয়ে ইট কাটার জন্য সেখানে বালির প্রয়োজন পড়ে। শহরের বালু মহল গুলো প্রায়ই বন্ধ আর হাতের কাছে বালুর গাদি থাকায় রাতের অন্ধকারে এ সুযোগ কাজে লাগাতে ভূল করেনি ভাটা মালিকেরা। জুগিয়া মুকসেদপুর এলাকায় প্রায় চারটি ইটভাটা রয়েছে যাদের কারো কাছে ভাটা চালানোর জন্য সঠিক কাগজপত্র নেই। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে দুই একজন নাম ব্যবহার করলেও বাকী ভাটা মালিকরা নাম ব্যবহার করে নাই। ইটভাটা মালিকেরা রাতের বেলায় বেকুব ও প্লেটোর দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংরক্ষিত বালুর গাদি থেকে বালি এনে নিজের ভাটায় সংগৃহীত করছেন এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে পরিবেশবিদ ও সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কুষ্টিয়ার ইটভাটাগুলো অনিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলছে। এতে পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। ইটভাটার চুল্লি নিচু হলে মানুষ ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ধোঁয়ায় গাছ, ফলমূল ও ফসল নষ্ট হয়ে যায়। ভাটার ধোঁয়া থেকে ব্যাপক ভাবে কার্বন মনোক্সাইড নির্গত হওয়ায় মানুষ সর্দি, কাশি, শ্বাস কষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে অবশ্যই নজর দেওয়া দরকার। এ বিষয়ে ভাটা মালিক খোকনকে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমার আগের বছরের বালু ইটভাটাতে ছিলো। আপনি একটু ভালো করে খোজ নিয়ে দেখেন। পরবর্তীতে তার ভাই জিল্লুকে ফোন করলে তিনি আরও জানান, আমরা বালু খোকসা জিলাপি তলা থেকে বালু কিনে  নিয়ে এসেছি এবং খরি পড়ানোর বিষয়টি জিজ্ঞেস করতেই তিনি ফোনটি কেটে দেন। এদিকে ২০১৩সন এবং ২০১৯সনের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ ও সংশোধন আইনে ড্রাম চিমনি ও ফিক্সড চিমনির ইটভাটা বন্ধ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও লোকালয় হতে ১কিঃ মিঃ দূরে ভাটা স্থাপনের বিধান রয়েছে। এই আইনে ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আইন অমান্য করে যারা অবৈধ ভাটা নির্মাণ এবং কাঠ পোড়াবেন তাঁদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষি জমি ব্যবহার না করে মজা পুকুর, খাল, বিল, খাড়ি, দীঘি, নদী, হাওড়, বাওড়, চরাঞ্চল ও পতিত জায়গা হতে মাটি সংগ্রহ করার কথা বলা আছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসন হতে লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অথচ অধিকাংশ ইটভাটা এসব আইনের ধারে ধরছে না। তাদের খেয়াল খুশি মতো চালাচ্ছে ভাটা। কুষ্টিয়া জেলার ইটভাটার বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের (সিনিয়র কেমিস্ট) হাবিবুল বাসারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। জুগিয়া ইটভাটার প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সদরের বিষয়টি ইউএনওর সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার পার্থ প্রতিম শীলকে মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি জানান, বিষয়টি  আপনি জানালেন আমি দেখছি।  কুষ্টিয়া জুগিয়া সংরক্ষিত বালুর গাদি থেকে বালি এনে ইট ভাটা মালিকদের ব্যবহার প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) মোঃ রাশিদুর রহমান বলেন, ঘটনা যদি সত্য হয় তাহলে এই বিষয়ে আমরা তদন্ত করে মামলা করবো।

এই ক্যাটাগরির আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক দিনের সমাচার
Theme Customized By Theme Park BD
error: Content is protected !!