স্টাফ রিপোর্টার:

এক নারীর সঙ্গে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কুষ্টিয়া জেলা শাখার নেতা বকুলের অশ্লীল ভিডিও ফাঁস হওয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জেলা জুড়েই চলছে আলোচনা -সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ও অশ্লীল এ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে।
নীজ দলের বেশ কয়েকজন নেতা কর্মি বলেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ পদের ব্যক্তি কর্তৃক এমন অশ্লীলতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ কুকর্মের জন্য ব্যক্তি বকুলের অনৈতিক কর্মকা-ের দায় দলও নেবে না। এর দায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই নিতে হবে।
আপত্তিকর ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বকুল আলী বিবস্ত্র অবস্থায় একটি নারীর সাথে অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত রয়েছে। ওই আপত্তিকর কর্মকান্ডের ভিডিও গোপনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তা মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। যা কুষ্টিয়ার বিভিন্ন বাজার, চায়ের দোকান ও উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ সর্বত্র চলছে স্বেচ্ছাসেবক নেতা বকুলের অশ্লীল কর্মকান্ডের ভিডিও নিয়ে চকছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
অশ্লীল এ ভিডিও ফাসের পর দলের একাধিক ব্যক্তি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বকুলের চারিত্রিক ত্রুটি আগে থেকেই রয়েছে। বকুলের এই নৈতিক অবক্ষয় কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আপত্তিকর ভিডিওটি দেখা দলীয় কর্মিরা চরম ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত এবং তার শাস্তিও দাবি করেন।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হাকিম মাসুদ বলেন, বকুলের অশ্লীল ভিডিও এর বিষয়ে আমি অবগত এবং বিষয়টি কেন্দ্রে জানানো হয়েছে। বকুলের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয় তা কেন্দ্রে থেকে সিদ্ধান্ত নেবে।
কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করেননি এবং আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক বকুল আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে আমাকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে। আমার আর কিছু বলার নেই।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতিএস এম জিলানী এবং সাধারণ সম্পাদক রাজীব এর মুঠোফোনে ফোন দিলে তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।