নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুষ্টিয়া সদরের মনোহরদিয়া ও গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়নের অর্ধ শতাধিক নারী পুরুষকে ১ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার নামে প্রতরণার ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ নামে একটি সংগঠনের মাধ্যমে বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হবে এমন কথা বলে তাদের ঢাকায় নিয়ে যাই প্রতারক চক্র। ঢাকায় নেওয়ার পর মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার কথা বলে তারা। এতে সন্দেহ হলে বাড়ি ফিরে আসে তারা। মঙ্গলবার দিনব্যাপী কুষ্টিয়া সদরের মনোহরদিয়া ও গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ভুক্তভোগী নারী পুরুষের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। পাশাপাশি এই কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই নারীরও সন্ধান মেলে। গ্রামের নিরীহ সহজ-সরল মানুষজনকে ঢাকায় নেওয়া ব্যক্তিদের সাথেও কথা বলেন প্রতিবেদক। ভুক্তভোগীরা বলছেন, বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে এনে ১ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোস্বামী দূর্গাপুর ও মনোহরদিয়া ইউনিয়নের দুই মহিলা ইউপি সদস্য। এদের একজন মনোহরদিয়া ইউনিয়নের সাবেক মহিলা ওয়ার্ড সদস্য ইসমত আরা নদী। নদী মনোহরদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামের ভাই সুমনের স্ত্রী। নদীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী একাধিক অভিযোগ করে বলেন, এই নারী বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। এছাড়াও এর সাথে পাশর্^বর্তী গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়নের মহিলা ওয়ার্ড সদস্য সেলিনা খাতুনও জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়নের শংকরদিয়া গ্রামের বরকত আলীর স্ত্রী আঙ্গুরী খাতুন প্রতিবেদককে জানান, আমাকে এক লক্ষ টাকা লোন দেওয়া কথা বলে ঢাকায় নিয়ে গেছে। ঢাকায় যাওয়া আসা দিয়ে আমার ১৫০০ টাকা খরচ। ঢাকায় যাওয়ার পর বুঝতে পারি আমরা প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছি।
একই এলাকার মন্টুর স্ত্রী হেনরী জানান, আমরা গরীব মানুষ। বিনা সুদে ঋণ দিবে এমন কথায় ঢাকায় গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি তারা বলছে আন্দোলন করতে বলছে, আরও সব কি বলছে। এই কারণে আমরা আবার ফিরে এসেছি।
একই এলাকার আয়ুব আলীর স্ত্রী ফরিদা জানান, আমরা প্রতরণার শিকার হয়েছি। প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
একই এলাকার বলরামপুর গ্রামের মসলেমের ছেলে ইসাহক ফরাজি জানান, আমাদের গ্রামের কিছু মহিলা লোনের কথা বললে আমিও বিনা সুদে লোন পেতে ঢাকায় যায়। গিয়ে শুনি এরা প্রতারক। আমাদের সাথে প্রতরণা করেছে।
আমিরের ছেলে মিজানুর রহমান জানান, এই চক্রের ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য ছিলো। তানাহলে কেন তারা এভাবে আমাদের ঢাকায় নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ এই প্রলোভনে পড়ে ঢাকায় গিয়েছিলো। প্রশাসনের উচিৎ এর মূল রহস্য খুঁজে বের করা।
এদিকে গ্রামের নিরীহ, সহজ-সরল মানুষের সাথে এই ধরনের ঘটনায় তৈরী হয়েছে রহস্য। ঋণের দেওয়ার কথা বলা হলেও চক্রটি কি উদ্দেশ্য তাদের ঢাকায় নিয়েছেন তা পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ঢাকায় নেওয়ার পর তাদের মানবন্ধন ও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ার কথাও বলেছে চক্রটি।
ঋণদেওয়োর কথা বলে ঢাকায় নেওয়ার সাথে জড়িত মনোহরদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জহুরুল ইসলামের ভাই সুমনের স্ত্রী ইসমত আরা নদী জানান, আমি কারো কাছে থেকে টাকা নেইনি। অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ একজন সংগঠক মাগুরার এক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে আমিসহ এলাকার কিকছু মহিলা-পুরুষকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে আমিও বুঝতে পারি আমরা সকলেই প্রতারণার শিকার হয়েছি। তবে তার বিরুদ্ধে উঠা প্রলোভন দিয়ে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে মানববন্ধন করানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাগুরা জেলার এক ব্যক্তির নির্দেশে তারাসহ স্থানীয়দের ঢাকায় নিয়ে গেছেন। এর বেশি কিছু জানেন না।
অপর অভিযুক্ত গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়নের মহিলা ওয়ার্ড সদস্য সেলিনা খাতুন জানান, আমি কারো কাছে থেকে কোন টাকা নেইনি। আমার এলাকার মহিলারা যাচ্ছে দেখে আমিও গিয়েছিলাম। আমি কাউকে ঢাকায় যাওয়া বিষয়ে বলেনি। এর সাথে যদি অন্যকোন উদ্দেশ্য জড়িত থাকে, সেটা যারা ঢাকায় নিয়ে গেছে তারা ভালো বলতে পারবে।
স্থানীয়রা বলছেন যারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহজ-সরল মানুষজনকে ঢাকায় নিয়েছেন তারা স্থানীয়ভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য ছিলো না ক্ষতিয়ে দেখার দাবি জানান স্থানীয়রা।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ ফরিদ উদ্দিন জানান, ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে তারা কাজ শুরু করছেন। তবে কেউ প্রতারিত হলে বা থানায় অভিযোগ পেলে প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি এই ঘটনার সাথে অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে কি না তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কুষ্টিযার পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে একটি চক্র ঋন দেওয়ার কথা বলে মানুষের সাথে প্রতরণা করেছে মর্মে আমরা জানতে পেরেছি। এই ঘটনা শোনার পর স্থানীয় থানা পুলিশসহ জেলা পুলিশ ঘটনার রহস্য উৎঘাটনে কাজ শুরু করেছে। ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি কারা কিভাবে এই প্রতরণার সাথে জড়িত তার তথ্য উৎঘাটন করা হচ্ছে।
তবে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা।
গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়নের শংকরদিয়া গ্রামের বরকত আলীর স্ত্রী আঙ্গুরী খাতুন প্রতিবেদককে জানান, আমাকে এক লক্ষ টাকা লোন দেওয়া কথা বলে ঢাকায় নিয়ে গেছে। ঢাকায় যাওয়া আসা দিয়ে আমার ১৫০০ টাকা খরচ। ঢাকায় যাওয়ার পর বুঝতে পারি আমরা প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছি।
একই এলাকার মন্টুর স্ত্রী হেনরী জানান, আমরা গরীব মানুষ। বিনা সুদে ঋণ দিবে এমন কথায় ঢাকায় গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি তারা বলছে আন্দোলন করতে বলছে, আরও সব কি বলছে। এই কারণে আমরা আবার ফিরে এসেছি।
একই এলাকার আয়ুব আলীর স্ত্রী ফরিদা জানান, আমরা প্রতরণার শিকার হয়েছি। প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
একই এলাকার বলরামপুর গ্রামের মসলেমের ছেলে ইসাহক ফরাজি জানান, আমাদের গ্রামের কিছু মহিলা লোনের কথা বললে আমিও বিনা সুদে লোন পেতে ঢাকায় যায়। গিয়ে শুনি এরা প্রতারক। আমাদের সাথে প্রতরণা করেছে।
আমিরের ছেলে মিজানুর রহমান জানান, এই চক্রের ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য ছিলো। তানাহলে কেন তারা এভাবে আমাদের ঢাকায় নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ এই প্রলোভনে পড়ে ঢাকায় গিয়েছিলো। প্রশাসনের উচিৎ এর মূল রহস্য খুঁজে বের করা।
এদিকে গ্রামের নিরীহ, সহজ-সরল মানুষের সাথে এই ধরনের ঘটনায় তৈরী হয়েছে রহস্য। ঋণের দেওয়ার কথা বলা হলেও চক্রটি কি উদ্দেশ্য তাদের ঢাকায় নিয়েছেন তা পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ঢাকায় নেওয়ার পর তাদের মানবন্ধন ও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ার কথাও বলেছে চক্রটি।
ঋণদেওয়োর কথা বলে ঢাকায় নেওয়ার সাথে জড়িত মনোহরদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জহুরুল ইসলামের ভাই সুমনের স্ত্রী ইসমত আরা নদী জানান, আমি কারো কাছে থেকে টাকা নেইনি। অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ একজন সংগঠক মাগুরার এক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে আমিসহ এলাকার কিকছু মহিলা-পুরুষকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে আমিও বুঝতে পারি আমরা সকলেই প্রতারণার শিকার হয়েছি। তবে তার বিরুদ্ধে উঠা প্রলোভন দিয়ে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে মানববন্ধন করানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাগুরা জেলার এক ব্যক্তির নির্দেশে তারাসহ স্থানীয়দের ঢাকায় নিয়ে গেছেন। এর বেশি কিছু জানেন না।
অপর অভিযুক্ত গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়নের মহিলা ওয়ার্ড সদস্য সেলিনা খাতুন জানান, আমি কারো কাছে থেকে কোন টাকা নেইনি। আমার এলাকার মহিলারা যাচ্ছে দেখে আমিও গিয়েছিলাম। আমি কাউকে ঢাকায় যাওয়া বিষয়ে বলেনি। এর সাথে যদি অন্যকোন উদ্দেশ্য জড়িত থাকে, সেটা যারা ঢাকায় নিয়ে গেছে তারা ভালো বলতে পারবে।
স্থানীয়রা বলছেন যারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহজ-সরল মানুষজনকে ঢাকায় নিয়েছেন তারা স্থানীয়ভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য ছিলো না ক্ষতিয়ে দেখার দাবি জানান স্থানীয়রা।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ ফরিদ উদ্দিন জানান, ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে তারা কাজ শুরু করছেন। তবে কেউ প্রতারিত হলে বা থানায় অভিযোগ পেলে প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি এই ঘটনার সাথে অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে কি না তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কুষ্টিযার পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে একটি চক্র ঋন দেওয়ার কথা বলে মানুষের সাথে প্রতরণা করেছে মর্মে আমরা জানতে পেরেছি। এই ঘটনা শোনার পর স্থানীয় থানা পুলিশসহ জেলা পুলিশ ঘটনার রহস্য উৎঘাটনে কাজ শুরু করেছে। ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি কারা কিভাবে এই প্রতরণার সাথে জড়িত তার তথ্য উৎঘাটন করা হচ্ছে।
তবে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা।