নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়ায় তিনদিন ব্যাপী ইসলামী মহা সম্মেলন শেষ হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) কুষ্টিয়া হাইস্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে জেলা উলামা পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের শেষ দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে আগত আব্দুল বাসেত খাঁন।

এসময় তিনি সম্পর্কের মর্যাদা বিষয়ে বক্তব্য দেন। কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক এমপি মাহবুবউল আলম হানিফ ও তার সম্পর্কের ভাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার ক্ষমতার ব্যাখ্যা দিয়ে, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বক্তা সিরাজগঞ্জ থেকে আগত আল্লামা আব্দুল বাসেত খাঁন বলেন, কুষ্টিয়া-৩ আসনে এমপি একজন দাপট তার সেক্রেটারির। এমপি ক্ষমতা না দেখালেও সম্পর্কের ভাইয়ের দাপট ছিলো বেশি। শুনেছিলাম সে নাকি চাচাতো ভাই। তার দাপটে কুষ্টিয়ার মানুষ স্বাধীনভাবে চলা ফেরা করতে পারেনি। আজ সেই ক্ষমতা কোথায় গেলো। গত ৫আগষ্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে তারাও পালিয়েছে। তাদের মনে রাখা উচিৎ ছিলো ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়৷ ক্ষমতার দাপট বেশিদিন থাকে না। তিনি আরো বলেন, উলামা একরামকে বাদ দিয়ে তাওহীদ হবে না। উলামা একরাম বেইমানি নাফরমানি কাজে থাকে না। কোরআনের বাণী পৌছে দিতে উলামা একরাম কাজ করে। তিনি বলেন, যারা বেইমানি করে তারা বিগত সময়ে দেখিয়ে দিয়েছে চুরি কাকে বলে। স্বৈরাচার সরকার আমলে তারা যে সম্পদ চুরি করেছে তার কোন হিসাব নেই। যারা আগামী দিনে ক্ষমতায় আসতে চান তারা সংশোধন হন। জনগন ইতি মধ্যে স্বৈরাচার সরকারের কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছে, আগামী দিনে ইসলামের শাসন যারা প্রতিষ্ঠিত করবে তাদেরকে জনগন ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন দীর্ঘ ১৬বছর উন্মুক্ত ভাবে কোন মাহফিল করতে পারি নাই। ইসলামের প্রচার করতে অনুমতি চাইলেও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের অনুমতি পাওয়া যেতো না। বিগত সময়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেশের প্রতি কোন মায়া ছিলো না। তার মনে ছিলো প্রতিশোধের আগুন। ক্ষমতায় থেকে জুলুম অত্যাচার কাকে বলে দেখিয়ে গেছেন। দেশের জনগনের টাকায় বানিয়েছিলেন তার বাবা বঙ্গবন্ধুর মুর্তি। এসব নাফরমানি ছাড়া ভালো কিছু নয়। জনগন এগুলো মেনে নিতে পারে নাই। সে লক্ষ্যে গত ৫আগষ্ট দেশের সকল মুর্তি জনগন ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। তিনি উল্লেখ্য করে বলেন, কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তা মোড়ে বঙ্গবন্ধুর মুর্তি ভাঙার অপরাধে মঙ্গলবাড়িয়া মাদ্রাসার দুই শিক্ষক সহ অবুঝ দুই শিশু জেল খেটেছে। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা পালানোর জন্য ৪৫মিনিটি সময় পেয়েছে, তবে যারা নতুন করে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে তারা সংশোধন না হলে কঠোর অবস্থানে যাবে উলামা পরিষদ। এসময় তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহব্বান জানান, দ্রুত সময়ে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এছাড়া তিনি বলেন, আমাদের তিনদিনব্যাপী মহাসম্মেলনের অনুমতিপত্রে কর্তৃপক্ষ লিখেছে মাদকদ্রব্য থেকে থেকে দুরে থাকতে হবে। এসব কোন শিক্ষিত যে উলামা পরিষদের সম্মেলনে মাদক থেকে দুরে থাকার কথা বলা হয়েছে। আমরা কোরআনের বাণী প্রচার করতে সম্মেলন করি। এসব উদভট কথা না বলার আহব্বান রাখেন তিনি। এসময় তিনি আরো বলেন লালনের আখড়াবাড়িতে প্রকাশ্য গাঁজা সহ মাদক কেনাবেচা হয়, সেখানে কারা উদ্বোধন করে, সেটা কিন্তু উলামা পরিষদ সজ জনগন জানে। যার কোন ধর্ম নেই তার বিষয়ে আপনাদের মাথা ব্যাথা নেই, তাহলে যারা ধর্মের প্রচার করে তাদের বিষয়ে গাঁজা খেয়ে কথা বলা যাবে না। লালনের মাজারে যখন অনুষ্ঠান হয় গাজার গন্ধে টিকে থাকা যায় না।