1. admin@protisomoyersomachar.com : admin : chayan ahmed
রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় অশান্ত করার পিছনের একজন সার্টিফিকেট বিক্রেতা মোঃ মনিরুজ্জামান - দৈনিক দিনের সমাচার
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁয় আলোচনা সভা ও কেক কাটা মধ্য দিয়ে বাংলা টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন মরণফাঁদ’ ৫ বছরেও শেষ হয়নি কুমার নদের ব্রিজ, বাড়ছে দুর্ঘটনা ! কুষ্টিয়া র‍্যাব ও পাবনা র‍্যাবের যৌথ অভিযানে কষ্টি পাথরের মূর্তিসহ একজন গ্রেফতার কুষ্টিয়ায় বাস, ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবক নিহত কুষ্টিয়ায় আ.লীগের ৩ নেতা কারাগারে রাজশাহী দুর্গাপুর স্ত্রী হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন রাজশাহীতে অ’পহর’ণকৃত ছাত্রীকে উ’দ্ধার করলো পিবিআই সেরা সংগঠকের সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সুমন নাগেশ্বরীতে ভিজিএফে র ৩৮০০ কেজি চাল উদ্ধার

রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় অশান্ত করার পিছনের একজন সার্টিফিকেট বিক্রেতা মোঃ মনিরুজ্জামান

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৮৫ বার পঠিত প্রিন্ট করুন




নিজস্ব প্রতিবেদক :





রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামানের জিজ্ঞাংসার শিকার রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়। তার ইন্ধনে ও তার কর্তৃক সরবরাহকৃত মিথ্যা তথ্যে প্রকাশিত খবর ও বহিরাগত টোকাই শ্রেণির লোকজন এনে মানব বন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ হুমকিতে ফেলেছেন। ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ২৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে। এইচএসসি পাশকৃত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বানচাল করার জন্য মনিরুজ্জামান ফ্রন্ট ডেস্কে তালা লাগায় ও ভর্তি কার্যক্রমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সে ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে  অশান্ত করার প্রাথমিক সূচনা করেছে। বিওটির সূত্রে জানা যায় তার এই অনিভেপ্রেত কাজটি বিওটির কোন সিদ্ধান্ত নয় এবং সে বিওটির একজন বিপদগামী সদস্য হিসেবে এবং ক্ষমতা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে এ কাজটি করেছে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাকে তালা খুলাতে বাধ্য করে। ঘটনা পরিক্রমায় গত ২৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সে কতিপয় স্থানীয় উঠতি নেতা ও অপরিচিত মাস্তান ঢুকিয়ে তাদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শাহজাহান আলীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত রেজিস্ট্রারের অবর্তমানে (ড. ইসমত আরা নিয়মিত রেজিস্ট্রার এবং তিনি বর্তমানে ছুটিতে ইউএসেতে আছেন) দায়িত্ব প্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমানকে ফেস্টিটদের দোসর তকমা দিয়ে অপসারণের জন্য ৪ দিন আলটিমেটাম দিয়ে আসে। উল্লেখ্য, হুমকি প্রদানকারী তার নাম ও মোবাইল নাম্বার ভিসিকে দিয়ে আসে। ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. মো. জহুরুল ইসলাম তাৎক্ষণিক আলটিমেটাম প্রদানকারী ব্যক্তির দলের কেন্দ্রীয় নেতাকে জানালে সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতা ফোনে আমেরিকা থেকে তাকে কানেক্ট করেন। আলোচনার এক পর্যায়ে লোকাল লিডার বলেন যে, রেজিস্ট্রার হিসেবে জনাব মো. মনিরুজ্জামান মোস্তাকের ভায়রা ইসলামিয়া কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনৈক নওয়াব আলীকে নিয়োগ দিলে আর কোন সমস্যা নাই। এতেই ষড়ষন্ত্রের মূল রহস্যটা জানা যায়। অথচ এই পদে ড. ইসমত আরা নিযুক্ত রয়েছেন এবং তিনি অর্জিত ছুটি নিয়ে ইউএসেতে অবস্থান করছেন। তদস্থলে রেজিস্ট্রার দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে কাজ করছেন প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমান যিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক পরিষদের সদস্য ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতা বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং তাকে এ বিষয়ে কথা না বলার জন্য নির্দেশ দেন।

জনাব মো. মনিরুজ্জামান মোস্তাক সাহেব সব বিষয়ে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে কূট কৌশল হিসেবে অন্ধকার জগতসহ স্থানীয় কতিপয় সংবাদপত্রের আশ্রয় নেন এবং অপ্রাসঙ্গিক বহু সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করেন। অবশেষে গত ৫ ডিসেম্বর বহিরাগতদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেন। উদ্দেশ্য তার ভায়রাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দখল করা ও উন্নয়নকাজের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও সার্টিফিকেট বাণিজ্য করা। উল্লেখ্য, জনাব নওয়াব আলীর বিরুদ্ধে ইসলামিয়া কলেজের অর্থ আত্মসাতের জন্য দুদকে মামলা রয়েছে। বিওটির মিটিং সূত্রে জানা যায়, গত অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখে অনুষ্ঠিত বিওটির সভায় মনিরুজ্জামান বুঝাতে চেষ্টা করেছিলেন যে, পদ খালি রাখা যাবে না পূরণ করতে হবে না হইলে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তা পূরণের প্রেসার দিতে পারে। আসলে এই প্রেসারের মূল নায়ক তিনি নিজেই।

কে এই মনিরুজ্জমান?

তিনি শিলাইদহ রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর ডিগ্রী কলেজের ক্রীড়া প্রশিক্ষক। কুষ্টিয়াতে শারীরিক শিক্ষা কলেজ পরিচালনা করেন। দীর্ঘদিন দারুল ইহসানের সার্টিফিকেট বিক্রির শাখা পরিচালনা করেছেন। কুষ্টিয়া ও শিলাইদহে ক্লিনিক ব্যবসাসহ ক্যাবল টিভির ব্যবসার সাথে জড়িত। প্রফেসর ড. মো. জহুরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলে তিনি আমার সাথে যুক্ত হন। কিন্তু তখনো তিনি বুঝতে পারেননি একজন ক্রীড়া প্রশিক্ষকের এই সমস্ত অপকর্মের কথা। উল্লেখ্য, সে রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের দায়িত্ব চায়। এতেই তার মূল উদ্দেশ্য বোঝা যায়।

মনিরুজ্জামানের যত অপকর্ম

তার অনৈতিক দাবি দাওয়া পূরণ করতে করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অতিষ্ঠ। মনিরুজ্জামান ভর্তি শাখার উপদেষ্টা হিসেবে প্রতিকি নিয়োগ নিয়ে ২/৩ বছর মাসিক বেতন নেন। পরবর্তীতে ইউজিসি থেকে পত্র জারি হয় যে, বিওটির কোন সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতনভূক্ত কোন কর্মকর্তা হতে পারবে না। পরে তাকে অপশন দেওয়া হলে সে উপদেষ্টাগিরি ছেড়ে দেয়। কিন্তু মাসে মাসে বেতন তাকে দিতেই হবে। পরবর্তী দু’বছর ব্যানার ও কেনা কাটার মিথ্যা ভাউচার করে সে প্রতি মাসে বেতনের সমপরিমাণ অর্থ নিতে থাকে এবং সেটা প্রায় ২ বছর চলে। কিন্তু এই বিষয়টাও সহনীয় পর্যায়ের বাইরে গেলে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু টাকা তার চায়ই চাই। শুরু হলো ছাত্র ভর্তি হতে টাকা সরানো। চলতে থাকলো বছর খানেক এবং বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায় সে পরিমাণ ৪০ লক্ষ টাকার মত। সেটা প্রকাশ হয়ে গেলে তাও বন্ধ হয়ে যায়। নতুন দাবি উঠালো প্রতি মাসে বিওটির মিটিং দিয়ে টাকা দিতে হবে এবং বিওটি মিটিং এর হার বাড়াতে হবে। বাড়ানোও হলো, মাসে মাসে মিটিং চলছে। কিন্তু এদের চাওয়ার শেষ নেই। রেজিস্ট্রার পদ দখল করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকেই শিক্ষকদের নিয়ে বিভিন্ন কমিটি করা হলে তাদের অন্তর্ভূক্ত করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের  অনুষ্ঠানের মঞ্চে তাকে রাখতেই হবে! এ জাতীয় আবদারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অতিষ্ঠ। জমি ক্রয়ের দায়িত্বে রয়েছে এই মনিরুজ্জামান। কয়েক কোটি টাকার জমি ক্রয়ে সে কত টাকার কমিশন খেয়েছেন তা পরবর্তী অনুসন্ধানে জানা যাবে। সম্প্রতি রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে নিজ অফিস চালু করেছে এবং বিশ^বিদ্যালয়কে তার দুর্নীতির অফিস হিসেবে ব্যবহার করছে। সে প্রতিনিয়ত বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজে হস্তক্ষেপ করে এবং বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণকে নথি প্রকাশে বাধ্য কওে, এমন কি অনেক নথির ছবি তুলে সে তা বাইরে প্রচার করে। আসলে  সে কী চায় সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্পষ্ট নয়। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক গোপন নথি (জার্নাল সংক্রান্ত) প্রকাশে বাধ্য করার জন্য মনিরুজ্জামান তাকে অপমান অপদস্ত করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে যেতে বলেছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক। এই মনিরুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর সাথে গোপনে পোপনে নিয়মিত যোগাযোগ করে প্রত্যেকের সাথে গোপন সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তাদের প্রোমোশন ও আর্থিক সুবিধার আশ্বাস দিয়ে কাছে টেনে নেন। যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় নিয়ম বহির্ভূত। এমনকি শিক্ষকদেরকে দিয়ে আন্দোলন করার চক্রান্ত করেছিল সে। আরো অনুসন্ধানী রিপোর্ট আসছে। নজর রাখুন।

 

এই ক্যাটাগরির আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক দিনের সমাচার
Theme Customized By Theme Park BD
error: Content is protected !!