নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ায় ভাড়া বাসা থেকে এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের কমলাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী পুলিশ কনস্টেবলের নাম রুবিনা খাতুন। সে কুষ্টিয়া আদালতের খোকসা কোর্টের জিআরও হিসেবে কর্মরত ছিলো। পুলিশের দাবি পারিবারিক কলহের জেরে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এই মূহুর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেহাবুর রহমান জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে ওই নারী কনস্টেবলের মৃত্যুর প্রকৃত কারন খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এক পা মাটিতে, অন্য পা বিছানায়, গলার ওড়নার গিট্টু ছিলো সামনে। মাথাটা ছিলো পিছনে। এটা হত্যা না কি, আত্মহত্যা এখনো জানা যায়নি।
তথ্যসূত্রে জানাগেছে, ওই নারী পুলিশ কনস্টেবল রুবিনা মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থানার গোলাপনগর এলাকার ভ্যান চালক আব্দুল শেখের মেয়ে। মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ছুটে আসেন আব্দুল শেখ, তিনি জানান তার মেয়ে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। চাকুরি পাওয়ার প্রায় বছর দুই পরে রতনপুর এলাকার ফজলু শেখের ছেলে আলাল শেখের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ দেওয়া হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে ও মেয়ে রেখে গেছে। তবে কুষ্টিয়ার ভাড়া বাসায় তার মেয়ে ও জামাই থাকতেন। এসময় রুবিনার বাবা আব্দুল শেখ ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের কাছে এর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান।
এবিষয়ে পুলিশ সদস্য রুবিনার স্বামী আলাল শেখ জানান, বাসার কাজ সব আমিই করি। মাঝে মধ্যে দুজনের মধ্যে মান অভিমান হতো। কি কারনে আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি জানেন না আলাল শেখ।
পরে নারী কনস্টেবলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।