1. admin@protisomoyersomachar.com : admin : chayan ahmed
ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে হত্যার চেষ্টা মামলায় প্রধান আসামি বাদ, বাদি ও স্বাক্ষীর বিরুদ্ধে চার্জসিট - দৈনিক দিনের সমাচার
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জাল সনদে চাকরি নেওয়া কুষ্টিয়ার আওয়ামী লীগ নেত্রী চাকরিচ্যুত কুষ্টিয়া চেম্বারের পরিচালকের সাথে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) শুভেচ্ছা বিনিময় তারুণ্যের শক্তিতেই মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব — জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশের প্রধান হলেন সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক কুষ্টিয়ার পাঁচ ইউনিয়নে সদর উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির শুভেচ্ছা বিনিময় কুষ্টিয়ায় রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে চিকিৎসার টাকা লুট কুষ্টিয়ার পাঁচ ইউনিয়নে সদর উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির মতবিনিময় নেতাকর্মীদের বই উপহার দিয়ে প্রশংসিত জিয়া সাইবার ফোর্সের নেতা পলাশ কুষ্টিয়ায় বাসের ধাক্কায় নারী আইনজীবীর মৃত্যু জিয়া সাইবার ফোর্সের সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হলেন পলাশ

ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে হত্যার চেষ্টা মামলায় প্রধান আসামি বাদ, বাদি ও স্বাক্ষীর বিরুদ্ধে চার্জসিট

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৪৭ বার পঠিত প্রিন্ট করুন
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}




নিজস্ব প্রতিনিধি :





কুষ্টিয়ায় এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করে বিপাকে পড়েছেন মামলার বাদি ও স্বাক্ষী। এঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিতের গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা মামলার প্রধান আসামিকে বাদ দিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। ঘটনার দুই মাস পর হত্যা চেষ্টা মামলার বাদি ও স্বাক্ষীদের নামে পাল্টা চুরির মামলা দায়ের করেন ওই মামলার প্রধান আসামি। প্রধান আসামি দায়ের করা কাউন্টার মামলায় বাদি ও স্বাক্ষীকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদির অভিযোগ, মোটা অংকোর টাকা লেনদেনে সবার যোগসাজসে এমন কান্ড ঘটিয়েছে পুলিশ। তিনি পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দিবেন বলে জানান।
সুত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই কুষ্টিয়া শহরের বাবুর আলী গেটে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি জুয়েল রানাকে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে কয়েকজন মিলে হত্যার চেষ্টা করেন। এঘটনায় জুয়েল রানা বাদি হয়ে ২৭ জুলাই কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন, আরিফ খান, নুরুন নাহার আরজু, মোছা: তমা ও সাদিয়া ফেরদৌস দীপ্তি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্ত শেষ করে একই বছরের ২৩ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই মুহা: আঃ আলীম। পুলিশের ওই প্রতিবেদনে মামলা এক নম্বর আসামি আরিফ খানকে বাদ দেয়া হয়। কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করেছেন মামলার এক নম্বর আসামি আরিফ খান কুষ্টিয়া কলকাকলী স্কুলের শিক্ষক। ঘটনার সময় তিনি স্কুলে অবস্থান করছিলেন বলে প্রধান শিক্ষক প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন।
তবে মামলার বাদি জুয়েল রানা ও স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জেবুন নেছা সবুজ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী। আর শিক্ষক আরিফ খান আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী। দুইজনের যোগসাজসে নানা অপকর্ম চলে কলকাকলী স্কুলে। এই দুইজনের কারণে কুষ্টিয়ার এক সময়ের স্বুনামধন্য কলকাকলী স্কুল বর্তমানে ধ্বংসের মুখে বলে জানান একাধিক শিক্ষক। মামলার বাদি জুয়েল রানার অভিযোগ পুলিশ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে মূল আসামিকেই বাদ দিয়ে দিয়েছে। যিনি প্রকাশ্যে হামলায় অংশ নিলেন, একটি মিথ্যা প্রত্যয়নপত্রকে সত্য ধরে পুলিশ তাকেই বাদ দিয়ে দিলো। ঘটনাস্থলের স্বাক্ষীদের বক্তব্য নিলেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসতো। কিন্তু পুলিশ তা না করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৫ আগস্ট থেকে পলাতক প্রধান শিক্ষক জেবুন নেছা সবুজের গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখের স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করে মামলার প্রধান আসামিকে বাদ দিয়েছেন।
মামলার স্বাক্ষীদের অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই মুহা: আঃ আলীম তাদের কোন জবানবন্দী নেয়নি। একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। পরে পুলিশ ইচ্ছামতো বক্তব্য লিখে আদালতে দাখিল করেছেন। কিন্তু আদালতে দেয়া জবানবন্দীতে তারা এসব বক্তব্য দেননি বলে জানান।
তবে আরিফ খান বলেন, ওই মামলার স্বাক্ষীরাও আমাকে চেনে না। তারা জবানবন্দীতেও তাই বলেছে। ঘটনার সময় আমি স্কুলে ছিলাম। স্কুলের সব শিক্ষকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই তারা বলবেন।
এদিকে ওই হত্যা চেষ্টা মামলার বাদি ও স্বাক্ষীর সায়েস্তা করতে ঘটনার দুইমাস পর একটি চুরির নাটক সাজিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন করেন ওই মামলার প্রধান আসামি(যাকে পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন থেকে বাদ দিয়েছেন) আরিফ খান। কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এই মামলার তিন নম্বার আসামি করা হয় হত্যা চেষ্টা মামলার বাদি জুয়েল রানাকে এবং দুই নম্বার আসামি করা হয় হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান স্বাক্ষী সবুজ বিশ^াসকে। চুরির এই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই হাফিজুল ইসলামকে। মামলাটি তদন্ত শেষ করে একই বছরের ২৩ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জসিটে উল্লেখ করেছেন আসামিরা যোগসাজস করে বাড়াদিস্থ কমিল উদ্দিন শাহ কলন্দর মাজারের মেইন গেট খুলে মাজারের ভিতর প্রবেশ করে বিভিন্ন আসবারপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। পুলিশ বলছে, মাজার শরীফের পদ নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। মামলার আসামিরা মাজারের বিভিন্ন পদে দায়িত্বে ছিলেন। মামলার এক নং আসামি ফেরদৌস ওয়াহিদ জুয়েল মাজারের ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে ছিলেন। গত ৫ আগস্ট সন্ধা আনুমানিক ৭টার দিকে আসামিরা মাজারের মেইন গেট খুলে মাজারের ভিতর প্রবেশ করে বিভিন্ন আসবারপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। তবে স্থানীয়রা জানান, দুই বছর আগেই ওই মাজারের দায়িত্ব ছেড়ে দেন ফেরদৌস ওয়াহিদ জুয়েল। তারা কেউ-ই মাজারে তো দূরের কথা মাজারের আশপাশেও যান না। বর্তমানে মাজারটি মামলার বাদি আরিফ খানের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনিই সবকিছুর দেখভাল করেন। ৫ আগস্টও আরিফ খানের দায়িত্বে ছিল মাজারটি।
তদন্ত প্রতিবেদনে হাস্যকর তথ্য উপস্থাপন করে পুলিশ দাবি করেছেন, চুরি হওয়া আসবারপত্রের মধ্যে হত্যা চেষ্টা মামলার স্বাক্ষী সবুজ বিশ^াসের নিকট বড় দুইটি ডেগ খুনতি ও ৫০টি প্লেট রয়েছে এবং হত্যা চেষ্টার মামলার বাদি জুয়েল রানার নিকট একটি সিলিং ফ্যান ও একটি পানির মটর রয়েছে। কিন্তু উক্ত মালামাল আসামিরা কোথায় রেখেছেন তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেননি। পুলিশ আসামিদের কাছে চুরি হওয়া মালামাল রয়েছে বলে উল্লেখ করলেও তা উদ্ধার দেখাতে পারেননি। তবে মামলার বাদি আরিফ খান বলেন, শেষ পর্যন্ত মাজারের দায়িত্বে জুয়েল-সবুরাই ছিলেন। আমি মাজারের কোন দায়িত্বে ছিলাম না। মাজারের মোটা অংকের টাকা তাদের কাছে রয়েছে। ঘটনার দিন তারা মালামাল নিয়ে তা এলাকার অনেকেই দেখেছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, হত্যা চেষ্টা মামলার আসামিদের ঘায়েল করতে পাল্টা চুরির মামলাটি কৌশলে দায়ের করেন আরিফ খান। যাতে হত্যা চেষ্টা মামলাটি বাদি আপোস করে নেন। এতে সব পক্ষকে ম্যানেজ করেন আরিফ খান।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেহাবুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না। এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না।

এই ক্যাটাগরির আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক দিনের সমাচার
Theme Customized By Theme Park BD
error: Content is protected !!