নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ জানিয়ে মশাল মিছিল (বিক্ষোভ) করেছে বিএনপির পদবঞ্চিতরা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর সভার সাবেক প্যানেল মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী মিলন এর নেতৃত্বে পদবঞ্চিত নেতাকর্মী শহরে মশাল মিছিল বের করে।
জানা গিয়েছে, গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার স্বাক্ষরিত পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি প্রকাশ করা হয়। এতে শওকত হাসান বুলবুলকে আহবায়ক ও পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে বিশ্বাস বাবুকে সদস্যসচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটি ঘোষণার পর বিরোধিতা করে বিএনপির পদবঞ্চিত একাংশ নেতাকর্মী। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিল বের করে মহিউদ্দিন চৌধুরী মিলনের সমর্থিত নেতাকর্মীরা।
মিছিলটি শহরের বড়বাজার রেলগেট থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এন এস রোড সড়ক প্রদক্ষিণ করে পাঁচ রাস্তা মোড়ে এসে শেষ হয়।
সেখানে মিছিল শেষে বক্তব্যে বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী মিলন বলেন, জেলার আহবায়ক কমিটিতে আমাকে যেমন অবহেলা করা হয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে পৌর আহবায়ক কমিটিতেও অবহেলা করা হলো। আমি ও অন্য যারা পদবঞ্চিত, আমরা দলের জন্য যে সংগ্রাম করেছি বা এখনও করছি সেটার কিঞ্চিত পরিমান মূল্যায়ণ পেলাম না।
এটা এক ধরনের স্বৈরাচারিতা উল্লেখ করে মহিউদ্দিন চৌধুরী মিলন আরো বলেন, জেলা ও পৌর আহবায়ক কমিটিতে যে সব লোকদের পদে রাখা হয়েছে তাদের অধিকাংশকেই মানুষ চিনে না। অথচ তাদেরকেই বড় বড় পদে রাখা হয়েছে। আর সংগ্রামী ত্যাগী নেতাদের পদবঞ্চিত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দাবি- অবিলম্বে এই পৌর আহবায়ক কমিটি বাতিল করা হোক। এই কমিটি আমরা মানি না, মানবো না।
সংবাদের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, মহিউদ্দিন চৌধুরী মিলন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র। তাকে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে সদস্য ও শহর কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, দলকে সু-সংগঠিত করতে জেলার প্রতিটি উপজেলা ও পৌর এলাকায় আহবায়ক কমিটি করা হচ্ছে। আগামী দিনে সম্মেলনের মাধ্যমে যে কমিটি গঠন করা হবে সেই কমিটিতে সকলকে মুল্যায়ন করা হবে। এদিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, আমার মনে হয় না এর থেকে সুষ্ঠ কমিটি এর আগে হয়েছে। সবাইকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। এখন সবাই যদি আহবায়ক কিংবা সদস্য সচিব হতে চায় সেটা তো সম্ভব নয়।