তিতাস আহম্মেদ:

কুষ্টিয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে বসবাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাতি ঘটনা ঘটেছে এ ঘটনায় আহত ১সহ একই রাতে কুষ্টিয়া -ঝিনাইদহ মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১ঃ৪০মিনিটের দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানাধীন মধুপুর আঁখ সেন্টার পাড়ার ইয়ামিন কাজীর ছেলে রিফাত কাজী(২৫) বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।এসময় বাড়ি থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণের অলঙ্কারসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি হয়।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানাযায়
রাত ১ঃ৪০ মিনিটের দিকে ডাকাত দল প্রশাসন পরিচয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে ইয়ামিন কাজীকে ডেকে তাহার কাছে পানি পান করতে চাই, পরবর্তীতে তাহার গলায় দেশীয় অস্ত্র ধরে তার বড় ছেলেকে ডাকতে বলে ও বাবার ডাকে রিফাত সাড়া দিয়ে রুম খুললে ডাকাত দল রুমে প্রবেশ করলে সবাইকে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে বাড়িতে সমস্ত কিছু তল্লাশি করতে থাকে,এর পর ডাকাত দল বাড়ীর বাক্স খুলতে বললে, সব লুট করতে থাকে এমন অবস্থায় ডাকাতদলের কাজে বাধা দিলে তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ইয়ামিন কাজীর ছেলে রিফাত কাজীকে রক্তাক্ত করে পরিস্থিতি খারাপ হলে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্র জানা যায় ইমায়িন কাজীর বাড়ি থেকে আওয়াজ আসলে আমরা স্থানীয়রা এগিয়ে যায় সে সময় রিফাতকে রক্তাক্ত অবস্থায় পায় পরে আমরা পার্শ্ববর্তী হরিনারায়ণপুর জনসেবা ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি।
এছাড়া একই রাতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের ইবি থানাধীন ১৪ মাইল এলাকায় গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা করে ডাকাত দল। আবার আজ রবিবার সকালে হরিনারায়ণপুর মহাদেব পাড়ার একটি মাঠ থেকে দুটি দেশীয় হাসুয়া উদ্ধার করছে হরিনারায়ণপুর পুলিশ ক্যাম্প, ক্যাম্পের ইনচার্জ ইউসুফ আলী শাহীন বলেন দুটি খড় কাটা দেশীয় হাসো পেয়েছি।

সম্প্রতি ইবি থানা এলাকায় একাধিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নিয়ে চলছে নানা তর্কবির্তক সহ ভয়ভীতি যাহার ফলে জনমনে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

এই বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মেহেদী হাসান ফোন কলে জানান মধুপুর ডাকাতির ঘটনার বিষয়ে কোন ধরণের লিখিত অভিযোগ দেন নি, তবে বিষয় শোনার পরপরই ঘটনা স্থলে পুলিশের একটি টহল গাড়ি পাঠিয়েছিলাম এছাড়া গত রাতেই কুষ্টিয়া- ঝিনাইদহ মহাসড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনা করছিলো,হরিনারায়ণপুরে দেশীয় হাসো পাওয়ার সাথে ডাকাতদলের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা সার্বিক বিষয়ে তদন্তধীন আছে। তবে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনার গুলো আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখছি সুস্থতদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।