নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায় মোবাইল ও টাকা ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে যুবক আহত হয়েছে। আহত ব্যক্তি হলেন চৌড়হাস উপজেলা সড়কের খায়রুল ইসলামের ছেলে সাহারুল ইসলাম সামি।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে চৌড়হাস কলনীর হঠাৎপাড়া মাঠে টুনটুনির মেলায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে আহত সামিকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে আহত সামির পিতা খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এতে ৬জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত নামা ৪ থেকে ৫জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা হলেন, শহিদুল এর ছেলে দুর্জয়, তিতাস ও হিমেল, এছাড়া প্রনয়, অভি ও তামিম সহ ৪ থেকে ৫জন।
ঘটনার বর্ননা, অভিযোগ সূত্রে জানা গিয়েছে, খায়রুল ইসলামের দুই ছেলে সাহারুল ইসলাম সামি ও সাব্বির হোসেন তাদের বন্ধুদের সাথে নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানাধীন চৌড়হাস কলোনীর হঠাৎপাড়া মাঠে টুনটুনির মেলায় যায়। সেখানে এঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে খায়রুল ইসলাম অভিযোগে জানান, এক পর্যায়ে মেলার মাঠে আমার ছেলে সাব্বির হোসেন এর নিকট থেকে হঠৎ করিয়া ১নং ও ৪নং বিবাদীদ্বয় মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তখন আমার দুই ছেলে প্রতিবাদ করায় বিবাদীদ্বয় তাদেরকে গলিগালাজ করিতে থাকে। এক পর্যায়ে ১নং বিবাদী তার হাতে ধারালো ছোরা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলে সাহারুল ইসলাম সামি এর মাথায় কোপ মারিয়া রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ৪নং বিবাদী তার হাতে ধারালো ছোরা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলে সাহারুল ইসলাম সামির মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ মরিলে আমার ছেলে বাম হাত দিয়ে ঠেকাইতে গেলে আঘাতটি আমার ছেলের বাম হাতের আঙ্গুলে লাগিয়া রক্তাক্ত কাটা জখম প্রাপ্ত হয়। এছাড়াও ৪নং বিবাদী আমার ছেলের বন্ধু প্রথম এর বাম হাতে কোপাইয়া রক্তাক্ত জখম করে। তখন ১নং ও ৪নং বিবাদীদ্বয় অন্যান্য বিবাদীদের ডেকে এনে আমার দুই ছেলে সহ তার বন্ধু অয়ন, সাব্বির, প্রথম দের এলোপাতাড়ী মারপিট করিয়া নীলাফোলা জখম করে। ১নং বিবাদী আমার ছেলে সাহারুল ইসলাম সামি এর একটি মোবাইল ফোন, যাহার মূল্য-১৫,৫০০/-টাকা নিয়ে নেয়। তখন আমার ছেলে তার বন্ধুদের চিৎকারে ডাকতে থাকে। ঘটনাস্থলে আমার ছেলের বন্ধু সহ অনেকে বিবাদীদের ঠেকাইয়া দিলে বিবাদীরা প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে সাহারুল ইসলাম সামি কে উদ্ধার করিয়া পথচলতি ইজিবাইকযোগে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, কুষ্টিয়ায় নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।