নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র ও তার দাদির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে স্থানীয় দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক ইমরান হাসানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তার সাথে থাকা প্যানাসনিক পিভি-১০০ মডেলের ভিডিও ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। এই ঘটনায় চিত্র সাংবাদিক ইমরান হাসান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চিত্র সাংবাদিক ইমরান হাসান গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের ফুলতলা প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে সড়কে ছাত্র ও তার দাদির মৃত্যুর ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে যান। এ সময় দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার ফেসবুক পেজে লাইভে ছিলেন তিনি। কুষ্টিয়া শহরের কাস্টম মোড় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী রকি (৩২) ও আরিফুল (৩৩) সহ আরও ১০/১২ জন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে এবং নাক, পিঠ ও মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। যার একটি ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়াও ইমরান হাসানের কাছ থেকে অফিসিয়াল প্যানাসনিক পিভি-১০০ মডেলের ভিডিও ক্যামেরা ও ক্যামেরার বয়া (মাইক্রোফোন) ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে বাংলা টিভির ক্যামেরা পার্সন আলীমসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করেন।
“দৈনিক খবরওয়ালা” পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুন্সী শাহীন আহমেদ জানান, কুষ্টিয়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তবে অজ্ঞাত কারণে এখনো মামলা হয়নি। তিনি মামলা দায়েরে বিলম্বের আশঙ্কা করছেন এবং কোনো অদৃশ্য কারণে চাপ থাকতে পারে বলে মনে করছেন। তিনি জানান, আগামীকাল (আজ) সকাল ১১টায় কুষ্টিয়া মডেল থানা ঘেরাও হবে। যদি দ্রুত গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাব।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি আবু মনি জুবেয়ার বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে সংবাদ সংগ্রহকালে একজন সাংবাদিকের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে আমরা থানা ঘেরাওসহ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা বা নির্যাতন করে কোনো সরকার পার পাবে না। দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হব।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্বেবুর রহমান বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, আমি মামলা নেওয়ার জন্য বলেছি। বিষয়টি আমি দেখছি।