মঙ্গলবার , ৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল

শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ যানবাহন নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন 

প্রকাশিত হয়েছে -




নিজস্ব প্রতিবেদক :





কুষ্টিয়ায় অবৈধ ট্রলির ধাক্কায় দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের  বিচারের দাবিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ও বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি কুষ্টিয়া শাখার আয়োজনে মানববন্ধন করেছে স্কুল শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস মোড়ে অবস্থিত মুকুল সংঘের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে মানববন্ধনে অংশ নেন তাদের অভিভাবকরাও। তাদের দাবি দিনের বেলায় স্থায়ীভাবে স্যালো ইঞ্জিন চালিত সব ধরনের অবৈধ যানবাহন বন্ধ রাখতে হবে।

মানববন্ধন কর্মসূচি অংশ নেওয়া কুষ্টিয়া জাতীয় মানবাধিকার কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার রুবেল বলেন, ‘আমরা চাই না অবৈধ গাড়ির কারণে সড়কে এভাবে তাজা প্রাণ ঝড়ে যাক। তাই আমরা আমাদের সন্তানদের নিরাপদে চলাচল করার জন্য যৌক্তিক দাবির পক্ষে দাঁড়িয়েছি। সড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করতে হবে।

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচার) সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী বাবু বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নসিমন, করিমন ও ট্রলি অবাধে চলাচল করছে। শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ বালির ট্রাক। এভাবে একটি শহর চলতে পারে না।

এর আগে গত রোববার স্কুল গেটে অবৈধ ট্রলির ধাক্কায় নিহত হয় শহরের প্রতীতি বিদ্যালয়ের প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী ইব্রাহিম। পরদিন সোমবার বাবার খাবার নিয়ে মাঠে যাওয়ার পথে ট্রলির চাপায় আলীম নামে এক পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারা যায়।

কুষ্টিয়ার মিরপুর, সদর ও কুমারখালী সংলগ্ন পদ্মা ও গড়াই নদীতে প্রচুর বালু উত্তোলন করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব বালুভর্তি যানবাহন শহরের প্রাণকেন্দ্র মজমপুর গেট হয়ে বিভিন্ন এলাকায় যায়। এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের সভাপতি কে এম জাহিদ বলেন, ‘অবৈধ যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ। তারা মাসোহারা নিয়ে থাকে, যার কারণে অবৈধ ট্রলি ও ড্রামট্রাকের চলাচল অবাধ হয়ে পড়েছে।’ সূর্যের আলো ফোটার পর থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত অবৈধ ট্রলি ও বালুভর্তি ড্রাম ট্রাক বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল বলেন, অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে কঠোর অভিযান শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে তিনটি ডাম্প ট্রাক ও ছয়টি নসিমন-করিমন জব্দ করেছে। এ ছাড়া জেল-জরিমানাও করা হয়েছে। অভিযান আরও জোরদার করা হবে।