তিতাস আহম্মেদ:
ব্যাংক থেকে টাকা উত্তলন করে বাড়ি ফেরার পথে আস্তানগর গ্রামের কামার বাড়ির নিকট থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামতের নির্দেশে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম হয়েছেন যুবক।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে
কুষ্টিয়ার ইবি থানাধীন আস্তানগর গ্রামের মধ্য পাড়া কামারবাড়ির নিকট থেকে মোঃ মোছাব মন্ডলের ছেলে ইয়ানুর (২৮) নামে এক বিএনপি কর্মী হামলার শিকার হন। তিনি ওয়ার্ড ঝাউদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক নেতা ছিলেন।
ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান কেরামত আলী বিশ্বাসের নির্দেশে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ও সেক্রেটারী হাবলু মোল্লার নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের ক্যাডার বাহিনী নাছিম পিতা সলিম মালিথা, আসাদুল পিতা নুজদার শরিফ পিতা মনসের বিশ্বাস,রাজ্জাক পিতা বিশাসর, কামিরুল পিতা বিশাসরত, নাজমুল পিতা শহিদ লিটন পিতা মুনবা, আলী রবিউল পিতা ইতাহার, সাগর(৩০)পিতা কেরামত, ইয়ানুরের ওপর হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০শয্য বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন।
ভুক্তভোগী চাচাতো ভাই সুজন জানান, আধিপত্য বিস্তার ও সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে ২০২২ সালের ২ মে কেরামতের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ৪০-৫০ জনের সংঘবদ্ধ দল ফজলু মন্ডল সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় দুপক্ষের সংঘর্ষে লাল্টু (৪০), মতিয়ার মণ্ডল (৪৫) পিতা কাশেম মণ্ডল (৫৫) ও রহিম মালিথা (৬০) নিহত হন। নিহতদের মধ্যে রহিম মালিথা কেরামত বাহিনীর সমর্থক ছিলেন, অন্য তিনজন ছিলেন ফজলু মণ্ডলের অনুসারী ছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ওই হত্যাকাণ্ডের মামলা তুলে নিতে কেরামত নিজে ও তার দলবল দিয়ে আমাদের উপর নানা রকম চাপ সৃষ্টি করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ
ইয়ানুরের ওপর আজকের হামলা চালানো হয়েছে।আরও জানান আমরা আজ দীর্ঘদিন ধরে আমাদের গ্রামের বাজার ও মাঠে যেতে পারছি না গেলেও ভয়ভীতির মধ্যে থাকি।
এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, হামলার ঘটনার সংবাদ পাওায় মাত্রই আমাদের ঝাউদিয়া ক্যাম্প থেকে একটি ফোর্স যায় পরবর্তীতে থানা থেকে আবারও একটি টিম পাঠিয়েছি।এ বিষয় এখন কোন মামলা করা হয়নি।তবে হামলার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।” বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান এলাকার পরিস্থিতি শান্ত পরিস্থিতি বিরাজমান আছে।