বুধবার , ৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল

পোরশায় মুকুলে-মুকুলে ভরে গেছে আমগাছ

প্রকাশিত হয়েছে -




সোহেল রানা,ভ্রাম্যমাণ,প্রতিনিধি:





নওগাঁর পোরশায় মুকুলে-মুকুলে ভরেগেছে আমগাছ। বাগানগুলো থেকে বের হচ্ছে মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধ। আমগাছ গুলিতে দেখা যাচ্ছে শুধু মুকুল আর মুকুল। ডালে-ডালে লক্ষ্যকরা যাচ্ছে দৃশ্যমান সোনালী মুকুলের আভা। মুকুলের ভারে আমগাছ গুলির মাথা নুয়ে পড়ার উপক্রম।

গাছে মুকুলের সমারোহ দেখে বাগান মালিক এবং আম চাষীরাও বেশ খুশি। অধিক ফলনের আশায় বিভোর বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত এ উপজেলার আমচাষী আর বাগান মালিকরা। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে চলতি মৌসুমে আমের উৎপাদন বেড়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা।

তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বাগান মালিক শহিদুল ইসলাম, গবিরা কুড়ি গ্রামের বাগান মালিক সবুর মাস্টার, পশ্চিম রঘুনাথপুরের আমচাষী মহসীন আলী জানান, তারা দির্ঘ্যদিন আম চাষ করছেন। আবহাওয়া ভাল থাকলে এবং আমের দাম ঠিক পেলে লাভ হবে বলে তারা জানান।

জালুয়া গ্রামের আমচাষি মোকছের আলী জানান, আবহাওয়ার কোন বিপর্যয় না হয় তাহলে প্রচুর আম উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান। আর দাম পেলে এ উপজেলায় আরো আম চাষ হবে বলে তিনি জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুনুর রশিদ জানান, এ উপজেলায় প্রতি বছর আমের উৎপাদন বড়েই চলেছে। নওগাঁ জেলার মধ্যে এ উপজেলায় সব চাইতে বেশি আম চাষ হচ্ছে।

এবারে এ উপজেলায় আম চাষ হচ্ছে ১০ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। তবে সাধারণত ডিসেম্বর মাসে আমগাছগুলোতে মুকুল আসে এবার ফেব্রুয়ারীতে মুকুল এসেছে। তারপরেও ব্যাপকহারে মুকুল আসায় এর পরিমান ধারা হয়েছে ৯০%। তারপরেও লক্ষমাত্রা ছড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা করছেন। এখানে উৎপাদিত আমের চাহিদা দেশে এবং দেশের বাইরে বেশ ভাল।

এ উপজেলার আম চাষিরা সবাই বানিজ্যিক ভিত্তিতে আমচাষ করছেন। ফলে তারা আম চাষে দক্ষ হওয়ায় আমের প্রতিবছর উৎপাদন ভাল হয়। সে লক্ষে চাষিদের উৎসাহ দিচ্ছেন তারা বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, আবহাওয়া এখন পর্যন্ত ভাল রয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া ভাল থাকলে এবছর পোরশায় আম উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এবং চাষিরা আমের ভাল দাম পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।