বুধবার , ৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল

দর্শনার জয়নগর সীমান্তে দু’দেশের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক

প্রকাশিত হয়েছে -




মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ





চুয়াডাঙ্গা দর্শনার জয়নগর সীমান্তে সীমান্ত সংক্রান্ত দ্বি-পাক্ষিক বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বিকেল ৩ টায় বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধীন দর্শনা বিওপি এলাকার সীমান্তের ৭৬ নম্বর মেইন পিলারের নিকট শূন্য লাইনে বাংলাদেশ অংশে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান এবং বিএসএফে’র পক্ষে ৩২-ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী সুজিত কুমার নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে অভিবাসন হিসেবে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পুশ ইন করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান আরও বলেন সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে কোনো নাগরিককে পুশইন করা একদিকে যেমন সীমান্ত আইন লঙ্ঘন। অন্যদিকে আন্তজার্তিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে ভবিষ্যতে যাতে সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে পুশ ইনের মতো কোনো ঘটনা সংঘটিত না হয় সেলক্ষ্যে বিএসএফের স্থানীয় কমান্ডারগণকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য বিজিবির অধিনায়ক বিএসএফের কমান্ড্যান্টকে অনুরোধ করেন।তিনি আরও বলেন, যদি কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যাবাসন করার প্রয়োজন দেখা দেয় সেক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তালিকা বিজিবির কাছে হস্তান্তর করতে হবে। বর্ণিত নাগরিকদের জাতীয়তা ও পরিচয়পত্র নিশ্চিতকল্পে অতি দ্রুত সময়ে প্রত্যাবাসন করা হবে বলে বিএসএফ কমান্ড্যান্টকে আশ্বস্ত করা হয়। ভারতে অবৈধভাবে অভিবাসনকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিজিবির ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের প্রস্তাবিত বিষয়টির সাথে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট একমত পোষণ করেন। সীমান্ত দিয়ে পুশইনের ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে লোকাল কমান্ডারগণকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে বলে বিজিবির অধিনায়ককে আশ্বস্ত করেন বিএসএফ।

এছাড়া সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ সীমান্ত সুরক্ষার লক্ষ্যে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম, চোরাচালান প্রতিরোধ, সীমান্তে টহল তৎপরতা বৃদ্ধি এবং গোয়েন্দা নজরদারি কার্যক্রম অব্যহত রাখার বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। সীমান্তে দায়িত্ব পালনকালে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং সীমান্ত সংশ্লিষ্ট যে কোনো ঘটনা এক অপরের সাথে তথ্য আদান প্রদানের বিষয়ে সহমত পোষণ করেন। বৈঠক শেষে উভয়ই ব্যাটালিয়ন কমান্ডার নিকটস্থ ৭৬ নম্বর সীমান্ত পিলার পরিদর্শন করেন।