নিজস্ব প্রতিনিধি।।

কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৪ টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপি বাশগ্রাম ইউনাইটেড বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে সম্মেলনের আয়োজন করেন৷

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমারখালি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম আনছার প্রামানিক।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল মঈদ বাবুল। উদ্বোধক ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল হাকিম মাসুদ। প্রধান বক্তা ছিলেন, কুমারখালি উপজেলা যুবদলের আহবায়ক অ্যাড. জাকারিয়া মিলন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমারখালি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মামুনুর রশিদ মামুন, কাজী মোমিনুল হক পলাশ, শাজাহান আলী মোল্লা, কুমারখালি পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী মাকছেদুল মোমিন, কুমারখালি উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হান্নান, রওশন জোয়ার্দার, হাসান জহির মুরাদ, আব্দুল জলিল কিশোর, কুমারখালি উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব কুদরত-ই নূর, কুমারখালি উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক হাসানুজ্জামান হাসান ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রফিক সহ দলীয় অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

পরে দ্বি বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একক প্রার্থী থাকায় দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুই জনের নাম ঘোষণা করে নবাগত কমিটি ঘোষণা করা হয়। এসময় কুমারখালি উপজেলা বিএনপির দলীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মকবুল হোসেন জানান, যেহেতু বাগুলাট ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দুজন প্রার্থী রয়েছেন, তাদের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বেসরকারি ভাবে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এতে এ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাইদুল ইসলাম  ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান। ইউনিয়ন বিএনপির পুর্নাঙ্গ কমিটিতে ত্যাগীদের স্থান দিয়ে তাদেরকে মূল্যায়ন করার আহব্বান জানানো হয়। সকলকে সাথে নিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করার তাগিদ নেতা জেলার নেতৃবৃন্দ। পরে জেলার নেতৃবৃন্দ নবাগত সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনে জাতীয় পতাকা ও বিএনপির দলীয় পতাকা উত্তলন করা হয়। বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে কুমারখালি উপজেলা, পৌর বিএনপি, যুবদল সহ বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তৃণমূল থেকেই দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। যারাই নেতৃত্বে আসবেন তাদেরকে মনে রাখতে হবে, এলাকার ত্যাগীদের নিয়ে সামনের পথ পাড়ি দিতে হবে। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হবে। ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে তারেক রহমানের বিকল্প নেই। বক্তারা বলেন, বিএনপি একটি গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। বিএনপি দলে আওয়ামী লীগের দোসরদের স্থান হবে না। যারা বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সুবিধা গ্রহণ করতে তাদের সাথে মেলামেশা করে জড়িত আছে, এমন কাউকে বিএনপির পদ দেওয়া হবে না। যে সকল বিএনপির নেতাকর্মীরা বিগত ১৭ বছর হামলা মামলার স্বীকার হয়েছেন, বা বিএনপির দু:সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে সাথে ছিলেন তাদেরকে আগে মূল্যায়ন করা হবে।