1. admin@protisomoyersomachar.com : admin : chayan ahmed
কুষ্টিয়ায় আমলা বাজারে ফোরলেন সড়কের উন্নয়ন প্রকল্পে আধুনিক ডিভাইডারের দাবি ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর হুঁশিয়ারি—আধুনিক মানে না হলে আন্দোলন - দৈনিক দিনের সমাচার
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জাল সনদে চাকরি নেওয়া কুষ্টিয়ার আওয়ামী লীগ নেত্রী চাকরিচ্যুত কুষ্টিয়া চেম্বারের পরিচালকের সাথে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) শুভেচ্ছা বিনিময় তারুণ্যের শক্তিতেই মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব — জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশের প্রধান হলেন সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক কুষ্টিয়ার পাঁচ ইউনিয়নে সদর উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির শুভেচ্ছা বিনিময় কুষ্টিয়ায় রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে চিকিৎসার টাকা লুট কুষ্টিয়ার পাঁচ ইউনিয়নে সদর উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির মতবিনিময় নেতাকর্মীদের বই উপহার দিয়ে প্রশংসিত জিয়া সাইবার ফোর্সের নেতা পলাশ কুষ্টিয়ায় বাসের ধাক্কায় নারী আইনজীবীর মৃত্যু জিয়া সাইবার ফোর্সের সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হলেন পলাশ

কুষ্টিয়ায় আমলা বাজারে ফোরলেন সড়কের উন্নয়ন প্রকল্পে আধুনিক ডিভাইডারের দাবি ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর হুঁশিয়ারি—আধুনিক মানে না হলে আন্দোলন





আক্তারুল ইসলাম, মিরপুর, কুষ্টিয়া।।





কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ফোরলেন উন্নয়ন প্রকল্পে ডিভাইডার বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর দাবি—এটি হোক কুষ্টিয়ার এনএস রোডের আদলে, যাতে বাজারের দুই পাশ একীভূত থাকে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য প্রাণবন্ত থাকে।
কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ফোরলেন উন্নয়ন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এর অংশ হিসেবে সড়কে ডিভাইডার বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। তবে ডিভাইডারের ধরন নিয়ে বাজারে চলছে তীব্র আলোচনা ও উদ্বেগ।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র আমলা বাজারের ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ ও সুশীল সমাজের নেতারা এককথায় বলছেন—ডিভাইডারটি যেন হয় আধুনিক মানের এবং কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডের আদলে। তা না হলে বাজারের দুই পাশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসবে এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যাহত হবে।
তারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—দাবি পূরণ না হলে মানববন্ধনসহ কঠোর আন্দোলনের পথে নামবেন।
এ অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র আমলা বাজার শুধু আমলা ইউনিয়নের নয়—পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ইউনিয়নেরও প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকে এই বাজার। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা কার্যক্রম এবং নানা নাগরিক সেবা গ্রহণের জন্য এখানে আসেন ক্রেতা ও সাধারণ মানুষ।
বাজারে রয়েছে তিন হাজার দোকান, যেখানে প্রতিদিন কোটি টাকার লেনদেন হয়। আমলা সরকারি কলেজ, আমলা সদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জাহানারা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমলা হেফযখানা এতিম ও কারিগরি মাদ্রাসা, এম আর এ কম্পিউটার টেনিং সেন্টার, মদিনাতুল উলুম মডেল মাদ্রাসাসহ রয়েছে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ব্যাংকিং সেবার ক্ষেত্রে বাজারটি সমৃদ্ধ। গ্রামীণ ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আইএফআইসি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংকসহ একাধিক এজেন্ট ব্যাংকিং, এনজিও সেবা এখানে চালু রয়েছে। চিকিৎসা সেবায় রয়েছে আমলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ওয়েস্টার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অসংখ্য ফার্মেসি ও ডাক্তার চেম্বার। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে আমলা পুলিশ ফাঁড়ি। এছাড়া নাগরিক প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য রয়েছে আমলা ইউনিয়ন পরিষদ।
যদিও এলাকা এখনো গ্রামীণ আবহে রয়েছে, তবুও দ্রুতই এটি শহরতলির রূপ নিচ্ছে। ফলে ফোরলেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে আমলা বাজার এখন এক বিশেষ নজরকাড়া স্থানে পরিণত হয়েছে।
ডিভাইডার নিয়ে বিতর্ক, ফোরলেন সড়কের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাজার এলাকায় ডিভাইডার বসানোর পরিকল্পনা করেছে সওজ। তবে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ বলছেন—যদি ডিভাইডারটি এনএস রোডের মতো নান্দনিক নকশায় হয়, মাঝেমধ্যে পারাপারের সুযোগ থাকে, তবে বাজারের দুই পাশের মধ্যে যাতায়াত সহজ হবে।
কিন্তু একেবারে লম্বা, সিল করা কংক্রিট ডিভাইডার হলে বাজার কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। এতে ক্রেতারা এক পাশ থেকে অন্য পাশে যেতে অনীহা প্রকাশ করবেন, যা ব্যবসার জন্য বড় ধাক্কা হবে।
আমলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা উন্নয়নের বিপক্ষে নই, তবে উন্নয়ন হতে হবে মানুষের সুবিধার জন্য। এনএস রোডের মতো ডিভাইডার বসালে বাজারের সৌন্দর্য যেমন বাড়বে, তেমনি ব্যবসাও সমানভাবে চলবে।
স্থানীয় টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষক ছরোয়ার হোসেন জানান, অনেক শিক্ষার্থী, রোগী ও বয়স্ক মানুষ প্রতিদিন বাজার পারাপার করে। লম্বা সিল করা ডিভাইডার হলে তাদের জন্য বিপদ বাড়বে। আমরা চাই, এমন নকশা হোক যাতে নিরাপত্তা ও যাতায়াত—দুটোই নিশ্চিত হয়।
এলাকাবাসীর মতে, এনএস রোডের মতো ডিভাইডার বসালে একাধিক সুবিধা পাওয়া যাবে—
বাজার একীভূত থাকবে দুই পাশের ব্যবসা সমানভাবে প্রাণবন্ত থাকবে, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে বাজার হবে গোছানো, আধুনিক ও শহুরে মানের ,যানবাহন চলাচল সুশৃঙ্খল হবে – দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে, ক্রেতাদের সুবিধা – সহজে পারাপার করা যাবে, কেনাকাটায় উৎসাহ বাড়বে, ব্যবসায়ীদের লাভ – উভয় পাশের দোকানে সমান ক্রেতা আসবে, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বাজার উপশহরে রূপ নেবে, সম্পত্তির মূল্য বাড়বে।
মানববন্ধনের হুঁশিয়ারি এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ যদি তাদের দাবি আমলে না নেয়, তবে তারা প্রথমে মানববন্ধন করবে, পরে প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনে নামবেন।
ব্যবসায়ী নেতা মো. আফরুল শাহ বলেন, এটি শুধু একটি বাজারের বিষয় নয়, এটি আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত। উন্নয়ন হতে হবে মানুষের স্বার্থে। দাবি পূরণ না হলে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়ে শুরু করব।
কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানসংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি এলাকাবাসীর অনুরোধ—তারা যেন স্থানীয়দের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন।
আমলা বাজারের প্রবীণ বাসিন্দা মো. রাব্বুল ইসলাম খাঁন বলেন, ডিভাইডার শুধু রাস্তার সাজ নয়—এটি আমাদের অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও সৌন্দর্যের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। আমরা চাই উন্নয়ন টেকসই হোক।

এই ক্যাটাগরির আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক দিনের সমাচার
Theme Customized By Theme Park BD
error: Content is protected !!