নিজস্ব প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এক তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল নেতা, যার নাম রফিকুল ইসলাম প্রশান্ত। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা এই নেতা বর্তমানে কুষ্টিয়া শহর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা ও মেধার জোরে রাজনৈতিক অঙ্গনে জায়গা করে নেওয়া প্রশান্তর দীর্ঘ পথচলা, ত্যাগ এবং সাংগঠনিক দক্ষতা তাকে নেতাকর্মীদের মাঝে এক বিশেষ পরিচিতি এনে দিয়েছে।
রফিকুল ইসলাম প্রশান্ত একটি স্বনামধন্য মুসলিম পরিবারের সন্তান। তার বাবা মরহুম ডাঃ আব্দুল লতিফ ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ, যিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন না। বাবার নীতি-নৈতিকতা ও শিক্ষা প্রশান্তর জীবনের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। কোনো রাজনৈতিক পারিবারিক পটভূমি না থাকা সত্ত্বেও, তিনি ২০০৮ সালে ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তার নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের ফলস্বরূপ ২০১১ সালে তিনি জেলা ছাত্রদলের সদস্য হন। এরপর ২০১২ সালে কুষ্টিয়া শহর ছাত্রদলের ১-নং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২০১৮ সালে জেলা ছাত্রদলের অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক পদে উন্নীত হন, যা তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।
দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রায় প্রশান্তকে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৮টি ভিত্তিহীন রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তিনি ৫ বার কারাভোগ করেছেন। এসব মিথ্যা অভিযোগ ও কারাভোগ তাকে দমাতে পারেনি, বরং তার রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছে। তিনি নিজেই বলেছেন, “কারাভোগ আমাকে ভীত করেনি, বরং এটি রাজনৈতিক পথচলার অংশ হিসেবে আমাকে আরও শক্তিশালী করেছে।” তার এই সাহসিকতা এবং দৃঢ়তা নেতাকর্মীদের মাঝে তাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে।
রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি রফিকুল ইসলাম প্রশান্ত শিক্ষাজীবনেও অত্যন্ত উজ্জ্বল রেকর্ড রেখেছেন। তিনি ২০০৭ সালে পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং ২০০৯ সালে ইসলামিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিবিএ (অনার্স) এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তার বহুমুখী প্রতিভার প্রমাণ হিসেবে তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রেও জ্ঞান অর্জন করেছেন। ২০২৪ সালে তিনি খুলনা ইউনানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ডিইউএমএস এবং ২০২৫ সালে ডিএমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
প্রশান্ত শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, তিনি একজন সামাজিক মানুষও বটে। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং সমাজে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তার মেধা, বিনয়, ভদ্রতা এবং নম্র আচরণ তাকে আলাদা করে চেনায়। এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সহকর্মীরা তাকে একজন ‘ভালো ছেলে’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার কঠিন বাস্তবতায়ও তিনি শিষ্টাচার ও নীতি-নৈতিকতার ব্যত্যয় ঘটান না, যা তার সবচেয়ে বড় শক্তি। এই জনসম্পৃক্ততা ও মানুষের ভালোবাসা তার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় পুঁজি এবং ভবিষ্যতের পথচলার প্রেরণা।
দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করেন, রফিকুল ইসলাম প্রশান্তের মতো তরুণ, শিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ নেতৃত্ব কুষ্টিয়ার যুব রাজনীতিতে নতুন গতি আনবে। তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং দৃঢ়তা তাকে জেলা যুবদলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছে। নেতাকর্মীরা আরও মনে করেন, যদি শীর্ষ নেতারা চান এবং মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন থাকে, তবে রফিকুল ইসলাম প্রশান্ত কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে নির্বাচিত হবেন। তাদের মতে, মানুষের সেবার জন্য প্রশান্তর মতো রাজনৈতিক, শিক্ষিত এবং সামাজিক মানুষেরই প্রয়োজন। তার অনুসারীরা আশা করছেন, তার ত্যাগ ও পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন করে তাকে যোগ্য সম্মান দেওয়া হবে। যদি তিনি কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসেন, তবে তার লক্ষ্য থাকবে দল ও জনগণের জন্য কাজ করা এবং কুষ্টিয়ার যুব রাজনীতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করা।